তাসকিন না শাহীন আফ্রিদি
Maminul Islam
সেপ্টেম্বর ৬, ২০২৩
খেলাধুলা
201 বার প্রদর্শিত হয়েছে
দলের পেস আক্রমণের নেতা তাসকিন আহমেদের কথায়ও শোনা গেল পাকিস্তানের শক্তিশালী ব্যাটিংকে আটকানোর বিশ্বাসের অনুরণন, ‘পাকিস্তানের ব্যাটিং পৃথিবীর সেরা। সহজ হবে না জানি। কিন্তু নিজেদের ওপর বিশ্বাসও আছে। সেরা বোলিং করতে পারলে ওদেরও অল্পতে আটকাতে পারব।
নিজের আলোয় তিনি এমন উজ্জ্বল যে এখন আর অন্য কারো মতো তাঁর হতেই ইচ্ছা করে না। নাসিম শাহ হতে চান একেবারে নিজের মতো, ‘আমি নাসিম শাহই হতে চাই। এমন একজন বোলার হতে চাই, যার নিজস্বতা আছে। ইমরান খান, ওয়াসিম আকরামরা অনেক বড় বোলার কিন্তু প্রতিটি মানুষই আলাদা।
আপনি তাঁদের ভালোটা নিতে পারবেন, তাই বলে আমি উনাদের মতো হতে পারব না।’ পাকিস্তানের সুদীর্ঘ ইতিহাসে এই তরুণ ফাস্ট বোলারের জন্য প্রচুর কীর্তিমান বোলারও থরে থরে সাজিয়ে রাখা আছে। যাঁর যাঁকে ভালো লাগে, তাঁর ভালো জিনিসটি নেওয়ার থাকে। তাসকিন আহমেদ-শরিফুল ইসলাম-হাসান মাহমুদদের জন্য অবশ্য তেমন কেউ নেই বললেই চলে।
আন্তর্জাতিক ক্রিকেট মাতানো মাশরাফি বিন মর্তুজাকেই বড়জোর বাংলাদেশের মানে সেই পর্যায়ে ফেলা যায়। তবে ভবিষ্যতে পথ দেখানোর একটি প্রজন্মও তৈরি হচ্ছে এখন। এই বাংলাদেশ দলের পেসাররাই তৈরি করছেন সেই ঐতিহ্য। যাঁদের পেছনে ফিরে গিয়ে শেখার মতো তেমন কেউ নেই।
তবে শ্রম নিংড়ে দেওয়া প্রচেষ্টায় দলের পেস বোলিং বিভাগকে যেখানে নিয়ে যেতে পেরেছেন, তাতে নিজেদের দেখেও শেখা যাচ্ছে।
শেখার এই প্রক্রিয়াকে বলা হচ্ছে ‘টিম বন্ডিং’। সেটি যে শুধু বোলাররাই করছেন, তা-ও নয়। ব্যাটারদের মধ্যেও এই চর্চা হচ্ছে বলে জানা গেছে। শ্রীলঙ্কার কাছে হার দিয়ে এশিয়া কাপ শুরুর পরই তাঁরা একে অন্যের সঙ্গে পারস্পরিক বিনিময়ে ডুবে যান আরো।
ওই হার মেনে নিতে না পারা ক্রিকেটাররা আফগানিস্তান ম্যাচে উজাড় করে দেওয়া পারফরম্যান্সে নিজেদের আত্মবিশ্বাসও নিয়ে গেছেন তুঙ্গে। গত দুই দিন অনুশীলন না করে হোটেলেই বন্দি হয়ে থাকাটাও আরো একজোট হওয়ার পক্ষে কাজে দিয়েছে। নিজেদের মধ্যেই খুলে রাখা শেখার সেই খোলা জানালার কথা বলতে শোনা গেল শরিফুলকেও, ‘আমরা এখন একে অন্যকে সাহায্য করছি। শুধু বোলাররাই নয়, ব্যাটাররাও একই কাজ করছে। দেখা যাচ্ছে আমার কোনো একটি বিষয়ে জানা দরকার। তা জানার জন্য আমি আরেকজনের কাছে যাচ্ছি। এভাবেই আমরা একত্রিত থাকছি।’মাঠে নেমে যাঁর যাঁর আলাদা দায়িত্ব পালনেও তৎপর হয়ে যাচ্ছেন। যা পাকিস্তানের নাসিম শাহকেও করতে হয়, ‘দলের প্রয়োজনে কাজে লাগতেই পছন্দ করি আমি। শাহীন যেমন ইনিংসের শুরুতে উইকেট তুলে দেওয়ার কাজটি করে। আর আমি চেষ্টা করি সুযোগ যাতে তৈরি হয় এবং বেশি রান যেন খরচ না করে ফেলি।’ বাংলাদেশ দলের শাহীনের কাজটিই এখন শরিফুলের। আফগানিস্তান ম্যাচে শুরুতে ব্রেক থ্রু এনে দেওয়ার কাজে সফল। এবার পাকিস্তানের বিপক্ষেও নিজেকে সেভাবে মেলে ধরা ইচ্ছা, ‘ব্রেক থ্রুটা যখন দিতে পারছি, খুব ভালো লাগছে। চেষ্টা করব এটি যেন করে যেতে পারি।’
নিজেদের কাছ থেকে শেখার প্রক্রিয়াটি আগের ম্যাচেই কাজে লাগতেও দেখেছেন। লাহোরের গাদ্দাফি স্টেডিয়ামের দারুণ ব্যাটিং সহায়ক উইকেটেও বাংলাদেশের পেসাররা বল সুইং করিয়েছেন। প্রতিপক্ষকে ধাক্কা দিয়েছেন, তা সামাল দিতে থাকা পার্টনারশিপও ভেঙেছেন। পাকিস্তান ম্যাচেও উইকেট তেমনই থাকবে ধরে নিয়ে প্রস্তুতও হচ্ছেন শরিফুল, ‘গত ম্যাচের উইকেট ফ্ল্যাট ছিল। (এ রকমই থাকলে) বোলারদের জন্য চ্যালেঞ্জিং, আঁটসাঁট বোলিং করা লাগবে। আলগা বোলিংয়ের সুযোগই নেই।’ দলের পেস আক্রমণের নেতা তাসকিন আহমেদের কথায়ও শোনা গেল পাকিস্তানের শক্তিশালী ব্যাটিংকে আটকানোর বিশ্বাসের অনুরণন, ‘পাকিস্তানের ব্যাটিং পৃথিবীর সেরা। সহজ হবে না জানি। কিন্তু নিজেদের ওপর বিশ্বাসও আছে। সেরা বোলিং করতে পারলে ওদেরও অল্পতে আটকাতে পারব।’নিজেদের মধ্যে শেখার খোলা জানালা দিয়েই বইছে বিশ্বাসের এই হাওয়া। সূত্র:কালের কণ্ঠ