বাংলাদেশের শীর্ষস্থানীয় নির্মাণ প্রতিষ্ঠান এবিসি গ্রুপের এবিসি রিয়েল এস্টেট লিঃ এবং ইস্পাহানি গ্রুপের প্রতিষ্ঠান ফ্রী স্কুল স্ট্রীট প্রপার্টিজ লিঃ এর যৌথ উদ্যোগে ঢাকার ঐতিহ্যবাহী ইস্পাহানি কলোনীতে অত্যাধুনিক গেইটেড কমিউনিটি ওয়েসিস এট ইস্পাহানী কলোনীর নির্মাণ কাজ প্রায় সম্পন্ন। তার প্রেক্ষিতে গত ২৭ মে তারিখে ঢাকায় এক অনাড়ম্বর অনুষ্ঠানের মাধ্যমে এই প্রকল্পের ক্রেতাগনদের সাথে নিয়ে একটি প্রি-হ্যান্ডওভার মীটিং অনুষ্ঠিত হয়েছে।
“দ্য ওয়েসিস অ্যাট ইস্পাহানি কলোনী” নামের এ আবাসন প্রকল্পে আধুনিক নগরজীবনের চাহিদা, সুস্বাস্থ্যকর আনন্দময় পরিবেশ এবং সকল ধরণের নিরাপত্তাকে সবিশেষ বিবেচনায় রেখে ৯টি টাওয়ারে ৪৫৭ টি এ্যাপার্টমেন্ট, ২টি বেইজমেন্টে ৬০০টি কারপার্কিং এবং প্রায় ৩০টিরও অধিক লাইফস্টাইল জোন নির্মাণ করা হয়েছে।
উক্ত অনুষ্ঠানে এবিসি’র পরিচালক শ্রাবন্তী দত্ত ও সৌগত ঘোষ উপস্থিত থেকে সম্মানিত ক্রেতাদের সাথে মতবিনিময় করেন। তাছাড়া এবিসির পরিচালক (অপারেশনস্) ডি. এন. চ্যাটার্জী, প্রকল্প পরিচালক মেজর মোঃ মনজুর হোসেন (অবঃ), এবিসি ফ্যাসিলিটিজ এর প্রধান নির্বাহী মেজর মোঃ হুমায়ুন আজাদ সরকার, পিএসসি (অবঃ), বিপণন মহাব্যবস্থাপক মোঃ জাকির হোসেন ও অন্যান্য উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা বিভিন্ন পরিবেশনার মাধ্যমে স্বল্পতম সময়ে নির্মিত এই সুবিশাল প্রকল্পের সকল বিশেষত্ব সম্পর্কে বিশদ আলোচনা করেন। প্রকল্পটির স্থপতি মোঃ ফয়েজুল্লাহ, স্ট্রাকচারাল ডিজাইনার অধ্যাপক ডঃ শামীম জেড বসুনিয়া এবং অন্যান্য কারিগরী বিশেষজ্ঞরা ওয়েসিস প্রকল্প এবং এর পরিবেশবান্ধব অবকাঠামো ও উচ্চ কারিগরী মান নিয়ে কথা বলেন।
ঢাকায় এই প্রথম সবরকমের আধুনিক ফিচারে সমৃদ্ধ বৃহদাকারের হাউজিং কমপ্লেক্স মাত্র ৫ বছরের মধ্যে সম্পন্ন হতে যাচ্ছে। এ প্রসঙ্গে পরিচালক শ্রাবন্তী দত্ত বলেন, “সততা, সঠিক পরিকল্পনা এবং কঠোর পরিশ্রমের মাধ্যমেই কেবলমাত্র ব্যবসায়িক ক্ষেত্রে অঙ্গীকারবদ্ধ থাকা সম্ভব, এবং সেই নীতি অনুসরণ করেই ৫০ বছরের অধিক সময় ধরে এবিসি নির্মাণ শিল্প ক্ষেত্রে তাদের সুনাম অক্ষুন্ন রাখতে সক্ষম হয়েছে। তাই নির্মাণকালীন সময়ে করোনা মহামারী, মূল্যস্ফীতি, আমদানী সঙ্কট ইত্যাদি বিবিধ ভয়াবহ সমস্যার সম্মুখীন হয়েও এবিসি এই উচ্চমানের প্রকল্পটি স্বল্পতম সময়ে সন্তোষজনক ভাবে সম্পন্ন করার চ্যালেঞ্জ নিয়েছিলো। আজ সেই লক্ষ্যে পৌঁছে এবিসি রিয়েল এস্টেট তাদের দ্য ওয়েসিস প্রকল্পকে দেশের হাউজিং শিল্পক্ষেত্রে একটি অনন্য দৃষ্টান্ত হিসেবে তুলে ধরতে চায়।“