ব্র্যাক ব্যাংক পিএলসি-এর পরিচালনা পর্ষদে স্বতন্ত্র পরিচালক হিসেবে যোগদান করেছেন আনিতা গাজী রহমান। ৩০ জানুয়ারি ২০২৪ এ নিয়োগ কার্যকর হয়েছে। পরিচালনা পর্ষদে মিসেস রহমানের যোগদান পর্ষদে অনেক অভিজ্ঞতা আনয়নের পাশাপাশি এক নতুন দ্বার উন্মোচন করেছে, যা ব্র্যাক ব্যাংককে প্রবৃদ্ধি এবং শ্রেষ্ঠত্বের যাত্রায় এক নতুন উচ্চতায় নিয়ে যেতে ভূমিকা রাখবে।
আনিতা গাজী রহমান একজন বিশিষ্ট তরুণ আইন-পেশাজীবী, যার রয়েছে আইনি পেশায় ১৯ বছরেরও বেশি পোস্ট-কোয়ালিফিকেশন অভিজ্ঞতা। কোম্পানি আইন, সাধারণ কর্পোরেট আইন এবং বিরোধ নিষ্পত্তিতে বিশেষজ্ঞ জ্ঞানসম্পন্ন আনিতা গাজী রহমান একজন ব্যারিস্টার এবং বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগ এবং আপিল বিভাগের একজন অ্যাডভোকেট।
কর্মজীবনে মিসেস রহমান বেশ কয়েকটি অলাভজনক এবং প্রফেশনাল অ্যাসোসিয়েশনের পর্ষদে কাজ করার মাধ্যমে আইন এবং কর্পোরেট খাতে সক্রিয় ভূমিকা রেখেছেন। তিনি বাংলাদেশি স্টার্টআপ ইকোসিস্টেমের একজন স্বনামধন্য ব্যক্তিত্ব, যিনি বিভিন্ন জাতীয় ও আন্তর্জাতিক ইনকিউবেটর এবং এক্সেলারেটর প্রোগ্রামে পরামর্শদাতা হিসেবে নিজের বিশেষজ্ঞ জ্ঞান প্রদানের পাশাপাশি বাংলাদেশ সরকারের আইসিটি মন্ত্রণালয়ের অধীন ‘ইনভেস্টমেন্ট কমিটি ইন স্টার্টআপ বাংলাদেশে’-এ কাজ করছেন।
এর আগে মিসেস রহমান চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে একজন স্বতন্ত্র পরিচালক হিসেবে কাজ করেছেন এবং বর্তমানে তিনি বাংলাদেশের শীর্ষস্থানীয় মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল কোম্পানি বিকাশ লিমিটেডের পরিচালনা পর্ষদে রয়েছেন। তিনি ল ফার্ম ‘দ্য লিগ্যাল সার্কেল’- এর ফাউন্ডার অ্যান্ড ম্যানেজিং পার্টনার এবং উদ্ভাবনী ওয়েব-ভিত্তিক লিগ্যাল রিসোর্স প্ল্যাটফর্ম ‘থিংক লিগ্যাল বাংলাদেশ-এর প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক।
ইউনিভার্সিটি কলেজ লন্ডন, যুক্তরাজ্য থেকে এলএলবি (অনার্স) ডিগ্রিসহ মিসেস রহমানের একাডেমিক ক্রিডেনশিয়ালও সমানভাবে মর্যাদাপূর্ণ। লন্ডনের লিঙ্কন’স ইন তাকে ‘বার অব ইংল্যান্ড অ্যান্ড ওয়েলস’ উপাধি দিয়েছে। জনকল্যাণমূলক কাজের প্রতি অবিচল প্রতিশ্রুতির জন্য পরিচিত মিসেস রহমান তাঁর সময়ের উল্লেখযোগ্য একটি অংশ বাংলাদেশে একটি ইতিবাচক পরিবর্তন নিয়ে আসার কাজে ব্যয় করেন। সামাজিক কাজের প্রতি তাঁর প্রবল আগ্রহ সাজিদা ফাউন্ডেশন এবং জাগো ফাউন্ডেশনের সাথে তাঁর সম্পৃক্ততা থেকেই স্পষ্ট বোঝা যায়।
পরিচালনা পর্ষদে আনিতা গাজী রহমানকে স্বাগত জানাতে গিয়ে ব্র্যাক ব্যাংকের চেয়ারপারসন মেহেরিয়ার এম. হাসান বলেন, “ব্র্যাক ব্যাংক বর্তমানে প্রবৃদ্ধি-যাত্রায় একটি গুরুত্বপূর্ণ পর্যায়ে রয়েছে। এই সময়ে ব্যাংকে উদ্ভাবনী এবং গতিশীল নেতৃত্ব থাকা অপরিহার্য। আনিতার তারুণ্যশক্তি এবং অপার দক্ষতা ও অভিজ্ঞতা ব্যাংকের পলিসি নিয়ে দিকনির্দেশনা তৈরি করতে এবং ভবিষ্যতের রোডম্যাপ প্রণয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। আমরা নিশ্চিত যে, পরিচালনা পর্ষদে তাঁর যোগদান আমাদের সুশাসনে শ্রেষ্ঠত্ব অর্জনের লক্ষ্যে ব্যাপকভাবে অবদান রাখবে।”