প্রকল্পটির বিষয়ে পরিকল্পনা কমিশনের ভৌত অবকাঠামো বিভাগের সদস্য (সচিব) এমদাদ উল্লাহ মিয়ান কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘আমরা প্রকল্পটি এখানে করার বিষয়ে আরো ভাবতে বলেছি। এখানে আবাসন হবে, না অফিস হবে—এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে হবে।
সচিব বলেন, এখন পর্যন্ত কী পরিমাণ আবাসনের ব্যবস্থা হয়েছে, বর্তমানে কতগুলো প্রকল্প চলছে, ভবিষ্যতে কী পরিমাণ প্রকল্প নেওয়া হবে, এর বিপরীতে কী পরিমাণ চাহিদা আছে—এসবের একটা বিশদ পর্যালোচনার মাধ্যমে চাহিদা অ্যানালিসিস করতে হবে।
আমরা ঢাকায় তো বিকেন্দ্রীকরণ করছিই না, ঢাকাকে যানজটমুক্ত করার টেকসই প্রজেক্টও করছি না। বরং যারা যানজট দূর করবে, তারাই যানজটকে চিরস্থায়ী করার জন্য অপরিকল্পিত আবাসন করছে। তাই ভবন করার আগে পরিবেশ ও ট্রাফিকের ওপর কী প্রভাব পড়বে, তা যাচাই করা দরকার।’
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের আরবান ও রিজিওনাল প্ল্যানিং বিভাগের অধ্যাপক ও বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব প্ল্যানার্সের (বিআইপি) সাধারণ সম্পাদক নগর পরিকল্পনাবিদ আদিল মুহাম্মদ খান কালের কণ্ঠকে বলেন, সরকার বারবার ঢাকাকে বিকেন্দ্রীকরণের কথা বললেও সরকারের সংস্থাগুলোই সেই ঘোষণা মানছে না।
দেখা যাচ্ছে, ঢাকায় কেন্দ্রীভূত নগরায়ণ আরো বাড়ছে। আগারগাঁওয়ে গাছপালা থাকার কারণে পরিবেশে ভারসাম্য রয়েছে, পরিবহনেরও একটা ভারসাম্য রয়েছে। যদি এই প্রকল্প নেওয়া হয়, তাহলে সেখানে চাপ অনেক বেড়ে যাবে, যা পরিবেশের ভারসাম্য নষ্ট করবে।
প্রকল্পের প্রেক্ষাপট তুলে ধরে প্রস্তাবনায় বলা হয়, ঢাকা শহরে কর্মরত সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীর সংখ্যা এক লাখ ৪৮ হাজার ৯১৫ এবং তাদের বসবাসের জন্য ১৩ হাজার ৫২টি ফ্ল্যাটের সংস্থান রয়েছে, যা মোট চাহিদার মাত্র ৮ শতাংশ এবং প্রয়োজনের তুলনায় অপ্রতুল।
অনেক কর্মকর্তা-কর্মচারী সরকারি বাসা না পাওয়ার কারণে বেশি ভাড়া দিয়ে বেসরকারি বাসায় থাকতে বাধ্য হচ্ছেন, যা তাঁদের আর্থিক অসুবিধার মধ্যে ফেলছে। আবার অনেকে নিম্নমানের বাসায় বসবাস করছেন, যা তাঁদের জীবনযাত্রার মানকে ব্যাহত করছে।
source: kaler kantho