বাংলাদেশের প্রথম জেসিআই স্বীকৃত হাসপাতাল, এভারকেয়ার হসপিটাল ঢাকা’য় আজ (৩০ মে, ২০২৪) অনুষ্ঠিত হয়েছে হেড ইনজুরি (মাথার আঘাত) সচেতনতা বিষয়ক একটি পেশেন্ট ফোরাম। অনুষ্ঠানে হেড ইনজুরি নিয়ে বিভিন্ন তথ্যবহুল আলোচনা ও মতবিনিময় করা হয়।
অনুষ্ঠানে বিভিন্ন স্বাস্থ্য জটিলতা নিয়ে কর্মরত চিকিৎসকরা নিজ নিজ দক্ষতা ও অভিজ্ঞতা শেয়ার করেন। পেশেন্ট ফোরামে হেড ইনজুরির কারণ ও করণীয় এবং কীভাবে তা রোগীর জীবনে প্রভাব ফেলতে পারে এসব নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়, যেখানে সচেতনতা বৃদ্ধির পরামর্শ দেন চিকিৎসকবৃন্দ। পেশেন্ট ফোরামটি বিশ্বমানের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিতে এভারকেয়ার হসপিটালের প্রচেষ্টার একটি অংশ।
পেশেন্ট ফোরামে উপস্থিত ছিলেন এভারকেয়ার হসপিটাল ঢাকা’র নিউরোসার্জারি বিভাগের সিনিয়র কনসালটেন্ট ও কো-অর্ডিনেটর প্রফেসর ডা. মোঃ জিল্লুর রহমান; নিউরোসার্জারি বিভাগের সিনিয়র কনসালট্যান্ট প্রফেসর (কর্নেল) ডা. মুঃ আমিনুল ইসলাম; নিউরোসার্জারি বিভাগের সিনিয়র কনসালটেন্ট ডা. মোঃ আলিউজ্জামান জোয়ার্দার; এভারকেয়ার হসপিটালস, বাংলাদেশ-এর এমডি ও সিইও ডা. রত্নদীপ চাষ্কার এবং মেডিকেল সার্ভিসেস বিভাগের ডিরেক্টর ডা. আরিফ মাহমুদ প্রমুখ।
এভারকেয়ার হসপিটাল ঢাকা’র নিউরোসার্জারি বিভাগের সিনিয়র কনসালটেন্ট ও কো-অর্ডিনেটর প্রফেসর ডা. মোঃ জিল্লুর রহমান বলেন, “হেড ইনজুরি প্রতিরোধে সবাইকে প্রাথমিক পদক্ষেপ সম্পর্কে সচেতন করতে হবে। এর মাধ্যমে আঘাতের সংখ্যা উল্লেখযোগ্যভাবে হ্রাস করবে এবং প্রত্যেকের সুরক্ষা নিশ্চিত হবে বলে আমার বিশ্বাস।”
নিউরোসার্জারি বিভাগের সিনিয়র কনসালটেন্ট প্রফেসর (কর্নেল) ডা. মুঃ আমিনুল ইসলাম বলেন, “নিউরোসার্জিকাল সেবার গুণগত মান নিশ্চিত করা কেবল মাত্র দায়িত্ব ও কর্তব্য নয় বরং প্রতিশ্রুতিও। এভারকেয়ার হসপিটাল ঢাকায় আমরা নিউরোলজিক্যাল (স্নায়বিক) স্বাস্থ্যসেবাকে এগিয়ে নিতে এবং রোগীদের সর্বোচ্চ মানের যত্ন এবং সেবা প্রদান করতে সবর্দা সচেষ্ট।”
নিউরোসার্জারি বিভাগের সিনিয়র কনসালটেন্ট ডা. মোঃ আলিউজ্জামান জোয়ার্দার বলেন, “হেড ইনজুরি একটি সেনসিটিভ বিষয় তাই তাৎক্ষণিক চিকিৎসার প্রয়োজন। তাই ডাক্তার এবং জনসাধারণকে এর প্রতিরোধে একসাথে কাজ করতে হবে। সম্মিলিত প্রচেষ্টা এবং সচেতনতা বৃদ্ধির মাধ্যমে রোগীদের জন্য আরো নিরাপদ পরিবেশ গড়ে তোলা সম্ভব।”
এভারকেয়ার হসপিটালস, বাংলাদেশ-এর মেডিকেল সার্ভিসেস-এর ডিরেক্টর ডা. আরিফ মাহমুদ স্বাস্থ্যসেবার মান উন্নয়নে এভারকেয়ার হাসপিটালের নিষ্ঠার কথা পুনর্ব্যক্ত করে বলেন, “আপনারা জানেন, এই ধরণের আঘাত খেলাধুলা, দুর্ঘটনা ইত্যাদি কারণে হয়ে থাকে, যা ব্যক্তির শারীরিক এবং মানসিক সুস্থতার উপর দীর্ঘস্থায়ী প্রভাব ফেলতে পারে। একটি নিরাপদ ও স্বাস্থ্যকর সমাজ গড়ে তোলার প্রত্যয়ে আজকের এই ফোরামটি আয়োজন করেছি এবং সচেতনতা বৃদ্ধির মাধ্যমে আমরা আমাদের লক্ষ্যে পৌছাতে পারব বলে আমি আশাবাদী।”