দ্য সোসাইটি অব এক্সপার্টস অন এনভায়রনমেন্ট ডেভেলপমেন্ট-এর (সীড) আয়োজনে কপ-২৮ সম্মেলন ২০২৩ উপলক্ষ্যে এক বিশেষ ওয়েবিনার অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত সম্মেলনে স্থানীয় ও বৈশ্বিক দৃষ্টিকোণ থেকে কী প্রত্যাশা করা যেতে পারে এবং বিশ্বব্যাপি এর গুরুত্ব তুলে ধরতে এই ওয়েবিনারটি আয়োজন করা হয়।
ওয়েবিনারে সভাপতিত্ব করেন সীড-এর সভাপতি ও কো-চেয়ারম্যান, স্মার্ট বাংলাদেশ নেটওয়ার্ক এবং প্রাক্তন মুখ্য সচিব মো: আবুল কালাম আজাদ। আরও অংশগ্রহণ করেন সীড-এর প্রধান উপদেষ্টা ড. কাজী খলিকুজ্জামান। স্থানীয় দৃষ্টিকোণ বিষয়ে উপস্থাপনা করেন পরিবেশ অধিদপ্তরের পরিচালক মির্জা শওকত আলী; এবং বৈশ্বিক দৃষ্টিকোণ উপস্থাপনা করেন পরিবেশ অধিদপ্তরের পরিচালক মো: জিয়াউল হক।
আলোচক হিসেবে অংশগ্রহণ করেন সীড-এর সহ-সভাপতি ড. আইনুন নিশাত; সীড-এর সহ-সভাপতি ড. মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান; এবং বুয়েট-এর অধ্যাপক প্রফেসর সাইফুল ইসলাম। কপ-২৮ সম্মেলন নিয়ে বিস্তারিত তথ্য উপস্থাপন করেন শিক্ষার্থী প্রতিনিধি মাহিনূর ইকরাম; এবং লস অ্যান্ড ড্যামেজ বিষয়ে উপস্থাপনা করেন এক্সকম-এর সদস্য ও পরিবেশ বিষয়ক আইনজীবী হাফিজুল ইসলাম। ওয়েবিনার সঞ্চালনা করেন সীড-এর সাধারন সম্পাদক ড. নূরুল কাদির এবং সীড-এর মো: যুগ্ম-সম্পাদক নাজমুস সাদাত।
সীড-এর প্রধান উপদেষ্টা ড. কাজী খলিকুজ্জামান বলেন, “জলবায়ু পরিস্থিতি বর্তমানে এতটা সংকটাপন্ন যে আগামী ২ মিলিয়ন বছরের মধ্যে পৃথিবীর গ্রিন হাউজ গ্যাস ধ্বংস হয়ে যাবে। চলতি বছরের জুন-জুলাই মাসে রেকর্ড উষ্ণ তাপমাত্রা এবং চলতি বছর ইতোমধ্যেই বাংলাদেশ ৩টি ঘূর্ণিঝড় উল্লেখিত ভয়াবহতার স্পষ্ট প্রমাণ। এসবের ফলে সৃষ্ট ক্ষতি মোকাবেলায় আমরা ইতোমধ্যেই প্রায় ৬ বিলিয়ন ডলার নিজস্ব তহবিল থেকে খরচ করেছি। তবে এই ঘটনাগুলো বিশ্বব্যাপি ঘটছে, যা ভবিষ্যতে আরও বাড়বে বলে ধারণা করা হচ্ছে। তাই কপ-২৮ সম্মেলনে বাংলাদেশের প্রতিনিধি দলকে গ্রিন হাউজ গ্যাস সংরক্ষণের পাশাপাশি অভিযোজন, বৈদেশিক সহায়তা ইত্যাদি বিষয়গুলো আন্তর্জাতিক মহলে জোরালোভাবে তুলে ধরতে হবে।”
সীড-এর সভাপতি মো: আবুল কালাম আজাদ বলেন, “আমরা সম্মেলনে আমাদের দাবিগুলো জোরালোভাবে তুলে ধরবো, কিন্তু সেখান থেকে সাহায্য আসবে এই আশায় উন্নয়ন থামিয়ে রাখলে চলবে না। আমরা গতবছর কপ পূর্ববর্তী-পরবর্তী ও কপ চলাকালীন ওয়েবিনার আয়োজনে করে সম্মেলনের যাবতীয় তথ্যাদি নিয়ে আলোচনা করেছিলাম এবং এবছরও এর ব্যতিক্রম হবে না। চলতি মাসের ২৪ তারিখ কপ-২৮ এর আনুষ্ঠানিক কার্যক্রম শুরু হচ্ছে এবং ডিসেম্বরের শুরুতে আমরা আরও একটি ওয়েবিনার আয়োজনের প্রত্যাশা করছি।”
উল্লেক্ষ্য, ১৯৯২ সালে জাতিসংঘের জলবায়ু পরিবর্তন সংক্রান্ত ফ্রেমওয়ার্ক কনভেনশন গ্রহণের মাধ্যমে বিশ্বনেতারা শীর্ষ কিছু লক্ষ্য-উদ্দেশ্য নিয়ে আলোচনা করতে প্রতিবছর বিশেষ সম্মেলনের আয়োজন করে। সেই ধারাবাহিকতায় আগামী ৩০ নভেম্বর থেকে ১২ ডিসেম্বর পর্যন্ত সংযুক্ত আরব আমিরাত-এর দুবাইয়ে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে কনফারেন্স অব পার্টিস ‘কপ-২৮ সম্মেলন’, যা এখন পর্যন্ত সবচেয়ে বড় ও গুরুত্ববহ হবে বলে আশা করা হচ্ছে।