শার্লট লিচ যুক্তরাজ্যের এসেক্স কাউন্টির একটি প্রযুক্তি সেবা প্রতিষ্ঠানে কাজ করতেন। অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার পর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাকে খবরটি জানান তিনি। এর আগে বেশ কয়েকবার গর্ভপাত হওয়ায় শারীরিক অবস্থা নিয়ে উৎকণ্ঠার কথাও জানান। তবে সমবেদনা তো দূরের কথা এই খবর শোনার পর শার্লটকে বরখাস্ত করেন কর্তৃপক্ষ।
এমন অমানবিক আচরণের জন্য শার্লট ওই প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেন। ৩৪ বছরের শার্লটকে ক্ষতিপূরণ হিসেবে ১৫ হাজার পাউন্ড (১৮ লাখ ৫৩ হাজার টাকা) দিতে ওই প্রতিষ্ঠানকে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। সম্প্রতি কর্মীদের অধিকারসংক্রান্ত একটি ট্রাইব্যুনাল এই রায় দিয়েছেন।
পূর্ব লন্ডনের ট্রাইব্যুনালে অনুষ্ঠিত ওই শুনানিতে বলা হয়, গত বছরের মে মাসে সিআইএস সার্ভিসেস নামের একটি প্রতিষ্ঠানে প্রশাসনিক সহকারী হিসেবে কাজ শুরু করেছিলেন শার্লট। বছরে ২০ হাজার পাউন্ডের চুক্তিতে কাজ করতেন তিনি। নতুন বছরের জন্য চুক্তিবদ্ধ হওয়ার মাত্র কয়েক সপ্তাহ আগে অন্তঃসত্ত্বা হওয়ায় শার্লটকে চাকরি ছাড়তে বাধ্য করা হয়।
শুনানিতে আরও বলা হয়, শার্লট তাঁর কর্মস্থলের ব্যবস্থাপক নিকোলা কাল্ডারকে বলেছিলেন অতীতে তাঁর আটবার গর্ভপাত হয়েছে। অনাগত সন্তানকে নিয়ে নিজের দুশ্চিন্তার কথাও জানিয়েছিলেন তিনি। ওই কর্মকর্তা শার্লটকে সান্ত্বনা না দিয়ে উল্টো চাকরিচ্যুত করেন।
নিকোলা কাল্ডার বলেছিলেন, শার্লটের চুক্তি নবায়নপত্রে তিনি স্বাক্ষর করেননি। আর এ কারণে তাঁর কোনো মাতৃত্বকালীন ছুটি প্রাপ্য নেই। তিনি শার্লটকে বলেছিলেন, ‘আপনাকে রাখার কোনো বাধ্যবাধকতা আমাদের নেই।’
শার্লট প্রতিষ্ঠানটির বিরুদ্ধে বৈষম্যমূলক আচরণ এবং অন্যায়ভাবে চাকরিচ্যুত করার অভিযোগে মামলা করেন। অন্তঃসত্ত্বা হওয়ায় বরখাস্ত করা হয়েছে নিশ্চিত হওয়ার পর ট্রাইব্যুনাল তাঁকে ১৪ হাজার ৮৮৫ পাউন্ড পরিমাণ অর্থ ক্ষতিপূরণ হিসেবে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। সূত্রঃপ্রথমআলো