যাত্রীর ছদ্মবেশে টিকিট কালোবাজারীকে আটক করলেন দেওয়ানগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার ( ইউ এন ও ) কামরুন্নাহার শেফা। গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে জামালপুরের দেওয়ানগঞ্জ রেলষ্টেশনে টিকিট কালোবাজারীকে আটক করা হয়। এ সময় আন্তঃনগর তিস্তা ট্রেনের সেই এটেনডেন্টসকে ৩ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, দেওয়ানগঞ্জ রেলষ্টেশনের টিকিট কালোবাজারি নিয়ে দীর্ঘদিন থেকে অভিযোগ ছিল। মাঝে মাঝে অভিযান হলে কিছুদিন বন্ধ থাকে, আবার শুরু হয়। গতকাল দুপুরে দেওয়ানগঞ্জ টু ঢাকাগামী আন্তঃনগর তিস্তা এক্সপ্রেসের টিকিট কাটতে দেওয়ানগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার ( ইউ এন ও ) কামরুন্নাহার শেফা যাত্রীর ছদ্মবেশে রেলস্টেশনে হাজির হন। সাদামাটা পোশাক ও কাউকে সাথে নিয়ে না যাওয়ায় বুঝার উপায় ছিলনা যে তিনি ইউএনও। একা একা ষ্টেশনে টিকিট খুজছিলেন এমন সময় একজন বলে যে কোথায় যাবেন ট্রেনের ভেতরে আসেন সিট দিব? তাদের কথামত তিনি ট্রেনের বগির ভেতরে গেলে তারা তিনটি টিকিট প্রদান দেয়। সাথে সাথে তাদেরকে আটকের করার নির্দেশ দেন ইউএনও।
এ সময় আলমাস ( ৩২) নামে এক এটেনডেন্টসকে ৬ আসনের ৩ টি টিকেটসহ আটক করে ৩ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়। সোনা মিয়া নামে ট্রেনের আরেক এটেনডেন্টস পালিয়ে যায় তবে তার নামে মামলা দেওয়া হয়েছে। এই ঘটনায় স্টেশনে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়।
দেওয়ানগঞ্জ রেলস্টেশন মাস্টার আব্দুল বাতেন কালের কণ্ঠকে বলেন, ট্রেনের ভেতরকার বেসরকারি এসব স্টাফরা বিভিন্ন ষ্টেশন থেকে টিকেট দেওয়ার কথা বলে এখান থেকে টিকিট বিহীন যাত্রী তোলে। পরে তাদের কাছে বিভিন্ন দামে কালোবাজারির এসব টিকিট বিক্রি করে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কামরুন্নাহার শেফা কালের কণ্ঠকে বলেন, দীর্ঘদিন থেকে চলে আসা এই রেল স্টেশনের টিকিট কালোবাজারি চক্রকে প্রতিহত করতে বিভিন্ন পন্থা অবলম্বন করে আসছিলাম। আজ যাত্রীর ছদ্মবেশ ধারণ করে একজনকে আটক করেছি এই চক্রকে নির্মূল করতে অভিযান অব্যাহত থাকবে।
সূত্রঃকালের কণ্ঠ