শিরোনাম

ছেলেকে বাঁচাতে লিভারের একাংশ দিতে চান মা, বাধা শুধু চিকিৎসা খরচ

দুরন্তপনায় চারদিক মাতিয়ে রাখত ১১ বছরের ফারহান সাদিক। তবে জীবন-মৃত্যুর এক অনিশ্চয়তা কেড়ে নিয়েছে তার শৈশবের সেই দুরন্তপনা। লিভার সিরোসিসে আক্রান্ত হয়ে এক অনিশ্চিত ভবিষ্যতের সামনে দাঁড়িয়ে আছে ফারহানের জীবন। যে বয়সে পড়াশোনা আর খেলাধুলায় ব্যস্ত থাকার কথা, সেই সময় তাকে কঠিন এক বাস্তবতার মুখোমুখি হতে হচ্ছে।

ফারহান সাদিকদের বাড়ি ঠাকুরগাঁও পৌর শহরের সরকারপাড়া এলাকায়। বাবা দেলোয়ার হোসেন জেলা মোটর মালিক সমিতির বুকিং মাস্টার।
বছর দুয়েক আগে সাদিকের খাওয়াদাওয়ার অরুচি দেখা দেয়। কিছু খেলেই শুরু হয়ে যেত বমি। ওই সময় ঠাকুরগাঁও পৌর শহরের সরকারপাড়া সমির সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে দ্বিতীয় শ্রেণিতে পড়ত সে। স্থানীয় শিশু চিকিৎসকেরা পরীক্ষা–নিরীক্ষা করে জানান, সাদিকের লিভারে ইনফেকশন ও জন্ডিস হয়েছে। উন্নত চিকিৎসার জন্য পরে সাদিককে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখানে বছরখানেক চিকিৎসার পর সাদিককে ঢাকায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। সেখানে পরীক্ষা–নিরীক্ষার পর জানা যায়, সাদিকের লিভারে বড় ধরনের কোনো সমস্যা আছে।

সাদিকের বাবা দেলোয়ার হোসেন বলেন, এই খবর জানার পর বাংলাদেশ থেকে সাদিককে ভারতের হায়দরাবাদের এআইজি হাসপাতালে (এশিয়ান ইনস্টিটিউট অফ গ্যাস্ট্রোএন্টারোলজি) নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে ধরা পড়ে, সাদিক লিভার সিরোসিসে আক্রান্ত। ভারতের চিকিৎসকেরা দ্রুত সাদিকের লিভার প্রতিস্থাপনের পরামর্শ দিয়েছেন। এই চিকিৎসার জন্য ৪০ লাখ টাকার বেশি অর্থ প্রয়োজন। কিন্তু তাঁর পক্ষে বিপুল পরিমাণ এই ব্যয় বহন করা সম্ভব নয়।
সাদিকের বাবা দেলোয়ার হোসেন বলেন, ‘হায়দরাবাদের চিকিৎসকেরা বলেছেন লিভার প্রতিস্থাপন করলে সাদিক জীবন ফিরে পাবে। আগের মতোই চলাফেরা করতে পারবে। লিভারের একাংশ দান করার জন্য সাদিকের মা মানসিকভাবে প্রস্তুতও আছেন।’ এসব কথা বলতে বলতে ভারি হয়ে আসে দোলোয়ারের কণ্ঠ। নিজেকে সামলে নিয়ে বলেন, ‘ছেলের চিকিৎসার পেছনে ৭ লাখেরও বেশি খরচ হয়ে গেছে। আত্মীয়স্বজন, বন্ধুবান্ধব ও প্রতিবেশীরা সহযোগিতা করেছেন। কিন্তু লিভার প্রতিস্থাপনের খরচের ৪০ লাখ টাকা আমি কোথায় পাব?’

সাদিকের মা বাবলি আক্তার বলেন, ‘আপনারা পাশে দাঁড়ালে ছেলেকে আমি আমার লিভারের একাংশ দেব। আমার ছেলেটা তাহলে হয়তো সুস্থ হয়ে উঠবে।

ফারহান সাদিকের চিকিৎসার খরচ জোগাড় করতে আপনি এগিয়ে আসতে পারেন। সাহায্য পাঠাতে চাইলে:

দেলোয়ার হোসেন, সঞ্চয়ী হিসাব নম্বর: ২৪৪২২, ইসলামী ব্যাংক, ঠাকুরগাঁও শাখা।
অথবা
বিকাশ নম্বর: ০১৭১৬৪১৪৯২৩

সূত্রঃপ্রথম আলো

আরও দেখুন

যমুনা ব্যাংকের রাজশাহী অঞ্চলের “ম্যানেজারস’ মিটিং” অনুষ্ঠিত

যমুনা ব্যাংকের রাজশাহী অঞ্চলের “ম্যানেজারস মিটিং” অনুষ্ঠিত হলো রাজশাহীর একটি অভিজাত হোটেলে, যেখানে ব্যাংকিং সেবা …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *