জনতা ব্যাংক লিমিটেড, হিউম্যান রিসোর্সেস ডেভেলপমেন্ট ডিপার্টমেন্ট-এর তত্ত্বাবধানে বিভাগীয় কার্যালয়, ঢাকা দক্ষিণ এবং এর আওতাধীন এরিয়া অফিস ও শাখাসমূহের ব্যবস্থাপক ও নৈতিকতা কমিটির সদস্যদের নিয়ে ০২ জুন, ২০২৩ শুক্রবার ‘সোনার বাংলা গড়ার প্রত্যয়: জাতীয় শুদ্ধাচার কৌশল’ শীর্ষক একটি কর্মশালা এবং সভা জনতা ব্যাংক স্টাফ কলেজ, ঢাকায় অনুষ্ঠিত হয়। সভাপতিত্ব করেন জনাব এ.কে.এম মুনিরুল ইসলাম, জিএম, বিভাগীয় কার্যালয়, ঢাকা দক্ষিণ। প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ব্যাংকের এমডি অ্যান্ড সিইও এবং নৈতিকতা কমিটির সভাপতি জনাব মোঃ আব্দুল জব্বার। এছাড়াও নৈতিকতা কমিটির ফোকাল পয়েন্ট ও জিএম-ইনচার্জ জনাব এ.কে.এম ফজলুর রহমান এবং নৈতিকতা কমিটির বিকল্প ফোকাল পয়েন্ট ও এইচআরডিডি -এর ডিজিএম জনাব ছাবিকুন নাহারসহ অন্যান্য নির্বাহী ও কর্মকর্তাগণসহ ব্যাংকের দুজন সন্মানিত গ্রাহক সভায় উপস্থিত ছিলেন। উক্ত কর্মশালা ও সভায় মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ কর্তৃক প্রণীত শুদ্ধাচার কৌশল কর্মপরিকল্পনা ২০২২-২৩ এর আলোকে সৎ ও শুদ্ধাচারী ব্যাংকারের মাধ্যমে গ্রাহকদেরকে উন্নতমানের সেবা প্রদান এবং ব্যাংকের সকল স্তরে সুশাসন নিশ্চিত করাসহ এ ব্যাংকের প্রণীত শুদ্ধাচার কৌশল কর্মপরিকল্পনা, বাস্তবায়ন, পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়নের সার্বিক বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়।
প্রধান অতিথি ব্যাংকের এমডি অ্যান্ড সিইও তাঁর বক্তব্যের শুরুতেই ব্যাংকের সকল স্তরে সুশাসন নিশ্চিত করার বিষয়ে দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করে ব্যাংক কর্তৃক আগামী ১০১ দিনের যে কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে তা বাস্তবায়নের বিষয় সবাইকে উদ্বুদ্ধ করেন এবং একযোগে কাজ করার নির্দেশনা প্রদান করেন । তিনি তাঁর বক্তব্যে সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের লালিত স্বপ্ন ‘সোনার বাংলা’ গড়ার লক্ষ্যকে সামনে রেখে শুদ্ধাচার বাস্তবায়নে সততা, নিষ্ঠা ও স্বচ্ছতার সাথে স্ব স্ব দায়িত্ব পালন, জবাবদিহিতা নিশ্চিতকরণ এবং বিদ্যমান কোড অব কন্ডাক্ট পরিপালনের মাধ্যমে দেশের অন্যতম বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক হিসেবে দেশের উন্নয়নে এ ব্যাংকের কর্মচারীদের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালনের আহ্বান জানান। ব্যাংক ব্যবসার অন্তরায় দূরীকরণ এবং ঝুঁকি নিরসনে উপস্থিত সবাইকে সচেতন হওয়ার সাথে সাথে নিজেকে সৎ, শুদ্ধাচারী দক্ষ ব্যাংকার হিসেবে গড়ে তোলার আহ্বান জানান। তাছাড়া বর্তমান বৈশ্বিক পরিস্থিতিতে রেমিট্যান্স আহরণ বিষয়ে সকলকে আরও মনোযোগী হওয়ার পরামর্শ প্রদান করেন।
কর্মশালায় জিএম-ইনচার্জ (এইচআর) ও ফোকাল পয়েন্ট জনাব এ.কে.এম ফজলুর রহমান জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান প্রদত্ত বক্তব্যর অংশবিশেষ উদ্ধৃত করেন –
“নেশন মাস্ট বি ইউনাইটেড অ্যাগেইনস্ট করাপশন। পাবলিক ওপিনিয়ন মবিলাইজ না করলে শুধু আইন দিয়ে করাপশন বন্ধ করা যাবে না।”
উদ্ধৃতি অনুসারে সকলকে আত্মসমালোচনা, আত্মসংযম ও আত্মশুদ্ধির মাধ্যমে জাতীয় শুদ্ধাচার কৌশল বাস্তবায়নে নিষ্ঠা, স্বচ্ছতা এবং জবাবদিহিতার সাথে স্ব স্ব দায়িত্ব পালনের পরামর্শ প্রদান করেন।
নৈতিকতা কমিটির বিকল্প ফোকাল পয়েন্ট এইচআরডিডি -এর ডিজিএম জনাব ছাবিকুন নাহার তার বক্তব্যে উল্লেখ্য করেন যে, মানসম্মত গ্রাহক সেবা ও বিশ্বাসযোগ্যতা দুটোই ব্যাংকের জন্য অতীব গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। এ দুটি বিষয় প্রধানত নির্ভর করে প্রাতিষ্ঠানিক দৃষ্টিভঙ্গি ও নৈতিকতা চর্চার ওপর। গ্রাহকসেবার ক্ষেত্রে দায়বদ্ধতা, স্বচ্ছতা, সততা ও ন্যায়পরায়ণতা, নিয়মের পরিপালন, নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণ, গোপনীয়তা রক্ষা প্রভৃতি মৌলিক আদর্শ ও নৈতিকতা প্রতিষ্ঠা বা চর্চা নিশ্চিত করা হলে ব্যাংক তার লক্ষ্যে পৌঁছতে পারবে। সুতরাং ব্যাংকি কর্মকান্ডে শুদ্ধাচার চর্চা ও তা প্রতিষ্ঠার জন্য সবাইকে আন্তরিক এবং নিবেদিত প্রাণ হতে হবে।
সভায় উপস্থিত ছিলেন ব্যাংকের দুজন সন্মানিত গ্রাহক মেসার্স চন্দ্রিমা ফেব্রিক্স এর স্বত্তাধিকারী জনাব এ.ডি.এম. সালাউদ্দিন এবং মোস্তফা মেটাল ইন্ড্রাস্ট্রিজের স্বত্তাধিকারী জনাব মোঃ মোস্তফা মুন্সী। তারা তাদের বক্তব্যে এ ব্যাংকের গ্রাহকসেবার মানে সন্তোষ প্রকাশ করেন।
পরিশেষে, সভার সভাপতি জনাব এ.কে.এম মুনিরুল ইসলাম, জিএম, বিভাগীয় কার্যালয়, ঢাকা দক্ষিণ গ্রাহকের স্বার্থ সমুন্নত রাখার প্রয়াসে স্বল্পতম সময়ে সর্বোত্তম সেবা প্রদানসহ গ্রাহকসেবার মান আরও উন্নত করার নির্দেশনা জানিয়ে সভার সমাপ্তি ঘোষণা করেন।