জনতা ব্যাংক পিএলসি. হিউম্যান রিসোর্সেস ডেভেলপমেন্ট ডিপার্টমেন্ট-এর তত্ত্বাবধানে ১০ নভেম্বর, ২০২৩ তারিখ শুক্রবার সকাল ০৯:০০ ঘটিকায় ‘সোনার বাংলা গড়ার প্রত্যয়:জাতীয় শুদ্ধাচার কৌশল বাস্তবায়ন’ শীর্ষক একটি অংশীজন সভা বিভাগীয় কার্যালয়, কুমিল্লার জিএম জনাব মোঃ আব্দুল ওয়াদুদ-এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয়। সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রধান কার্যালয়ের নৈতিকতা কমিটির ফোকাল পয়েন্ট ও জিএম-ইনচার্জ (এইচআর) জনাব এ. কে. এম ফজলুর রহমান। এছাড়াও অংশীজন হিসেবে বিভাগীয় কার্যালয়, কুমিল্লা, আওতাধীন বিভিন্ন এরিয়া অফিস এবং শাখার প্রধান ও কর্মকর্তাগণসহ ব্যাংকের কুমিল্লা কর্পোরেট শাখা, এ. কে. ফজলুল হক রোড কর্পোরেট শাখা, কান্দিরপাড় কর্পোরেট শাখা, শাসনগাছা শাখা এবং চকবাজার শাখার ০৫ জন সন্মানিত গ্রাহক সভায় উপস্থিত ছিলেন।
উক্ত সভায় জাতীয় শুদ্ধাচার কৌশল, সিটিজেন চার্টার, তথ্য অধিকার, অভিযোগ প্রতিকার ব্যবস্থাপনা, গ্রাহকগণকে উন্নতমানের সেবা প্রদান, সেবা সহজীকরণ, সেবার মান বৃদ্ধি, কর্মপরিবেশ উন্নয়ন প্রভৃতি বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়। উপস্থিত গ্রাহকগণ বিদ্যমান গ্রাহকসেবার মানে সন্তোষ প্রকাশ করেন ও সেবার মান আরো উন্নয়নে তাদের মতামত ব্যক্ত করেন।
নৈতিকতা কমিটির ফোকাল পয়েন্ট ও জিএম-ইনচার্জ, এইচআর জনাব এ. কে. এম ফজলুর রহমান জিএম-ইনচার্জ মহোদয় ২০২৩-২৪ অর্থবছরের জাতীয় শুদ্ধাচার কৌশল কর্ম-পরিকল্পনার গুরুত্ব ও তাৎপর্য সম্পর্কে আলোকপাত করেন। তিনি সভাকে জানান যে, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের রূপরেখা অনুসরণ করে আজকের এই অংশীজন সভার আয়োজন করা হয়েছে। তিনি তাঁর আলোচনায় এ ব্যাংকের শুদ্ধাচারের রূপকল্প-অভিলক্ষ্য অর্জনে বিভিন্ন কার্যক্রম নিয়ে কথা বলেন। গ্রাহকসেবার ক্ষেত্রে স্বচ্ছতা, সততা ও ন্যায়পরায়ণতা, নিয়মের পরিপালন, নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণ, গোপণীয়তা রক্ষা ইত্যাদি নিশ্চিত করতে হবে মর্মে তিনি উল্লেখ করেন।
বিশেষ অতিথি, বিকল্প ফোকাল পয়েন্ট, নৈতিকতা কমিটি ও উপমহাব্যবস্থাপক, এইচআরডিডি জনাব ছাবিকুন নাহার সভায় উপস্থিত সম্মানিত গ্রাহকদের সাদর অভিবাদন জানিয়ে সকলের উদ্দেশ্যে বলেন, ‘Customer is the most important visitor to our premises. He is not dependent on us we are dependent on him. He is the part of it, he is the purpose of it.’ তিনি তাঁর বক্তব্যে জাতীয় শুদ্ধাচার কৌশল-এর পটভূমি, উপদেষ্টা পরিষদ, বিভিন্ন পর্যায়ের নৈতিকতা কমিটির রূপরেখা ও কার্যপরিধি নিয়ে বিশদ আলোচনা করেন। তিনি অফিসে যথাসময়ে উপস্থিত হওয়া, দাপ্তরিক শিষ্টাচার বজায় রাখা, কর্মস্থল পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রেখে কর্মসম্পাদনের ওপর গুরুত্ব আরোপ করেন। তিনি জানান যে, জনতা ব্যাংক পিএলসি. স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণের অংশীদারিত্ব বজায় রাখতে সেবা সহজীকরণের অংশ হিসেবে ব্যাংকিং ডিজিটালাইজেশনের মাধ্যমে জনগণের দোরগোড়ায় সেবা পৌঁছে দেয়ার জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। ইতোমধ্যেই ই-জনতা অ্যাপস, ই-চালান, ই-জিপি, ই-পেনশন ইত্যাদি সেবা চালু করা হয়েছে মর্মে সভাকে অবহিত করেন।
পাম প্রজেক্ট, পদ্ম ডেইরী ফার্মের স্বত্বাধিকারী ও সফল উদ্যোক্তা মিসেস রাখী রাণী সরকার বলেন, জনতা ব্যাংকের চকবাজার শাখা থেকে সিসি ঋণ গ্রহণ করে পদ্ম ডেইরী ফার্ম প্রতিষ্ঠান দাড় করিয়ে অসহায় ও দুঃস্থ মহিলাদের কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করেছেন। তাঁর ফার্মে শুরুতে ৩৫ টি গরু থাকলে বর্তমানে ৬৫টি গরু রয়েছে। শাখার ব্যবস্থাপক সম্প্রতি ঋণ সীমা বাড়িয়ে দেওয়ায় এটি সম্ভব হয়েছে বলে তিনি মনে করেন। ঋণের অর্থে তিনি পাম প্রজেক্ট নামীয় আরেকটি প্রতিষ্ঠান সৃষ্টি করেছেন। তিনি জনতা ব্যাংককে তাঁর পরিবার মনে করেন। ব্যাংকের পরামর্শ, সহযোগিতায় ভবিষ্যতে তাঁর স্বপ্ন হাজার শ্রমিকের প্রতিষ্ঠান গড়তে পারবেন বলে তিনি মনে করেন। তিনি বলেন অনেক প্রতিকূলতা পেরিয়ে আজ তিনি গৃহিণী থেকে সফল উদ্যোক্তা হয়েছেন এবং তাঁর এ পথ চলায় জনতা ব্যাংক সবসময় তাঁর পাশে ছিল এবং ভবিষ্যতেও থাকবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
পরিশেষে, সভার সভাপতি জনাব মোঃ আব্দুল ওয়াদুদ তার সমাপণী বক্তব্যে বলেন যথাযথভাবে গ্রাহকসেবা প্রদান করাই হলো একজন ব্যাংকারের বড় শুদ্ধাচার। তিনি সম্মানিত গ্রাহকদের উদ্দেশ্যে বলেন, জনতা ব্যাংক আপনাদের সর্বোত্তম সেবা প্রদানের জন্য সদা প্রস্তুত। গ্রাহকরা এ ব্যাংকের সেবা সম্পর্কে তাঁদের মতামত, অভিব্যক্তি ও পরামর্শ প্রদান করলে আমরা ব্যাংকার হিসাবে আমাদের অবস্থান জানতে ও বুঝতে পারি। তখন সেবার মান উন্নয়নের সুযোগ সৃষ্টি হয়। নতুন নতুন সেবা সংযোজন হয়, বিদ্যমান সেবা সহজীকরণসহ সর্বোত্তম সেবা নিশ্চিত হয়।