ঢাকা রিজেন্সি হোটেল অ্যান্ড রিসোর্ট আয়োজন করতে যাচ্ছে বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী খাবারের এক জাকজমকপূর্ণ আয়োজন যা আঞ্চলিকভাবে বাংলাদেশের জেলা উপজেলাতে প্রসিদ্ধ। যেহেতু বাঙালি হিসেবে আমরা ভোজনপ্রিয়, তাই বাঙ্গালী হিসেবে আমাদের মা-নানি-দাদিদের হাতের খাবারের স্বাদ এখনও আমাদের কাছে প্রশংসিত !যা মনে হলে অতীতের সেই স্বাদ ও ঘ্রানে আমরা হারিয়ে যাই। অতীতে বিভিন্ন ধরনের দেশীয় খাবার যা রান্না করার পরে আনন্দ উৎসবে মেতে উঠতাম এবং আমাদের নানি-দাদীরা নিজ হাতে মশলা বেটে দেশীয় উপাদান দ্বারা রান্না-বান্না করতেন যা বর্তমানে বিংশ শতাব্দীতে আমরা এবং আমাদের পরবর্তী প্রজন্ম ভুলতে বসেছে।
ঢাকা রিজেন্সি হোটেল অ্যান্ড রিসোর্ট সব সময় দেশীয় ঐতিহ্যকে ধারন ও বাহন করে এবং এভাবেই আমাদের পথচলা ! সেহেতু আমরা আমাদের খাবারে দেশীয় স্বাদের প্রাধান্য দিয়ে থাকি। আমাদের শেফরা সর্বদা ১০০% দেশীয় মশলা এবং উপকরন ব্যবহার করে থাকেন। এবং আমরা বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলার বা অঞ্চলের প্রসিদ্ধ খাবারগুলোকে আন্তর্জাতিক বা বিদেশী অতিথিদের কাছে পরিবেশনের মাধ্যমে প্রচার করে থাকি, সাথে বাঙ্গালী আতিথিয়তা প্রসার করি।
(( আপনারা কি জানেন চিকেন টিক্কা মাসালা হচ্ছে ব্রিটেনের জাতীয় তরকারি যা ইংল্যান্ডে অবস্থিত ১৪০০০ বাংলাদেশী রেস্তোরাঁয় বাঙ্গালী ঐতিহ্যকে প্রচার এবং প্রসার করেছে; এই দেশীয় খাবারগুলোকে সমৃদ্ধ করেছে।)) কিন্তু বর্তমানে আমাদের দেশে ফাস্ট ফুড এবং ভিনদেশী খাবারের ভিড়ে আমাদের ঐতিহ্যবাহী চিরচেনা খাবারগুলো হাড়িয়ে যেতে বসেছে । সেখানে আমরা নতুন করে আমাদের নতুন প্রজন্মের কাছে এই খাবার গুলো স্বাদ পুনরায় পরিচিত করে দিতে যাচ্ছি । এরই উদ্দেশ্যে আমাদের ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় “দ্যা লোকাল কালিনারী হেরিটেজ অব বাংলাদেশ”- বাংলার ঐতিহ্যবাহী খাবারের এক মিলনমেলা।
ঢাকা রিজেন্সি হোটেল অ্যান্ড রিসোর্ট , জনপ্রিয় একটি বাংলাদেশী হোটেল ব্র্যান্ড যা অন্যান্য বিদেশী হোটেলগুলোর সাথে সগর্বে একইসাথে তার সার্ভিস পুঙ্খানুপুখ ভাবে দিয়ে যাচ্ছে এবং হোটেলটি তার সুনাম ধরে রেখেছে।
আয়োজন প্রসঙ্গে, এখানে বিভিন্ন অঞ্চলের বিভিন্ন স্বাদের মুখরোচক খাবার নিয়ে সাজানো হবে এই খাদ্যসম্ভার যেখানে কিছু অঞ্চলের নাম না বললেই নয়, যেমন – চট্টগ্রামের মেজবান , সিলেটের সাতকড়া বিফ , খুলনার চুইঝাল , কক্সবাজারের লইট্টা ভাজি, চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার কালাইয়ের রুটি, চাটগাঁওয়ের কালাভুনা …এছারাও পুরান ঢাকার খাসির লেগ রোস্ট , নিহাড়ি-তেহারি, বিরিয়ানিতো আছেই!
মিষ্টি মন্ডার ভিতরে নাটোরের কাঁচাগোল্লা , নেত্রকোনার বালিশ মিষ্টি , বরগুনার চুইয়া পিঠা, চ্যাবা পিঠা, মুইট্টা পিঠা, বগুড়ার দই, টাঙ্গাইলের পোড়াবাড়ির চমচম , কুমিল্লার রসমালাই , মেহেরপুরের রসকদম্ব , সাথে থাকছে হরেক রকমের ভর্তা !
ঢাকা রিজেন্সি হোটেল এন্ড রিসোর্ট-এর উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা এবং কর্মচারীবৃন্দের উপস্থিতিতে বর্ণাঢ্য আয়োজনের মধ্য দিয়ে ৫ই অক্টোবর সন্ধায় এই উৎসবের উদ্বোধন করবেন ঢাকা রিজেন্সি-র ম্যানেজিং ডিরেক্টর কবির রেজা ।
তিনি বলেন -“বাংলাদেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় বাংলাদেশী হোটেল ব্র্যান্ড হিসাবে, ঢাকা রিজেন্সি সর্বদা স্থানীয় এবং বিদেশী অতিথিদের কাছে বাংলাদেশী ঐতিহ্যবাহী খাবারের প্রচার ও পরিচয় করিয়ে দিতে অনুপ্রাণিত।”
সকল শেফদের তত্ত্বাবধানে এবং বিভিন্ন বিদেশী অতিথি ও ফুড ক্রিটিক্সদের উপস্থিতিতে ৫ই অক্টোবর সন্ধ্যা থেকে উদ্ভধনী আয়োজন শুরু হবে এবং চলবে ৩০ অক্টোবর পর্যন্ত।ঐতিহ্যবাহী নানা খাবারে সাজানো এই বিশাল আয়োজনে খাবার মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে ৪৯৯৯(জনপ্রতি)। সাথে সিলেক্টেড কার্ড হোল্ডার পাচ্ছেন বাই ওয়ান গেট ওয়ান ফ্রি!! ঢাকা রিজেন্সী-র লয়াল্টি প্রোগ্রাম – প্রিমিয়ার ক্লাব মেম্বাররা ব্যুফে ডিনারে পাবেন অগ্রাধিকার। এই আয়োজনটি সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা থেকে রাত সাড়ে ১০টা পর্যন্ত ঢাকা রিজেন্সির হোটেল অ্যান্ড রিসোর্টের জনপ্রিয় গ্র্যান্ডডিওস রেস্টুরেন্টে চলবে এবং সঙ্গে থাকবে ইন্সট্রুমেন্টাল মিউজিক।
এই জমকালো আয়োজন উপভোগ করার জন্য এবং বাংলাদেশী খাবার ও ঐতিহ্যকে স্মরণ করার জন্য আপনাদের সাদরে আমন্ত্রন!পরিবার এবং বন্ধুদের নিয়ে চলে আসতে পারেন এই আয়োজনে।
এই আয়োজন সম্পর্কে আরও বিস্তারিত জানতে যোগাযোগ করুন 01713332661 নম্বরে