businessbarta.com সবার জন্য businessbarta.com
এ সম্পর্কিত আরো পোস্ট
তৃতীয়বারের মতো অনুষ্ঠিত হলো ‘এনবিএফআই সংযোগ ২০২৩’। দেশে কার্যরত শীর্ষ সব নন-ব্যাংক ফাইন্যান্সিয়াল ইনস্টিটিউশন (এনবিএফআই) তাদের সেবা নিয়ে এ সংযোগে অংশগ্রহণ করেছে। বুধবার (১৩ সেপ্টেম্বর, ২০২৩) বেলা ১১ টার দিকে ঢাকার প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁও হোটেলে দিনব্যাপী এনবিএফআই সংযোগের উদ্বোধন করেন শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন বণিক বার্তার সম্পাদক দেওয়ান হানিফ মাহমুদ এবং বিএলএফসিএ চেয়ারম্যান মো. গোলাম সরওয়ার ভূঁইয়া। যৌথভাবে এ মেলার আয়োজন করে বণিক বার্তা ও বাংলাদেশ লিজিং অ্যান্ড ফাইন্যান্স কোম্পানিজ অ্যাসোসিয়েশন (বিএলএফসিএ)।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন বলেন, শিল্পোন্নয়নে এনবিএফআইয়ের ভ‚মিকা অনেক বেশি। মানুষের দোরগোড়ায় পৌঁছে যাওয়ায় ব্যাবসায়ীরা অনেক বেশি উপকৃত হচ্ছেন৷ এনবিএফআইগুলোকে মানুষের আস্থা অর্জন করে উদ্যোক্তাদের উৎসাহ দেয়ার জন্য কাজ করে যেতে হবে।
এনবিএফআই প্রতিষ্ঠানগুলোকে উদ্দেশ্য করে শিল্পমন্ত্রী বলেন, আজকে হোম লোন থেকে শুরু করে সব জায়গায় ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী যারা আছে, বাজারভিত্তিক যেখানে প্রয়োজন পড়ছে, সেখানে আপনারা চলে যাচ্ছেন। দেশের বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো পাশাপাশি এনবিএফআই প্রতিষ্ঠানগুলো বড় ভ‚মিকা রাখছে। এনবিএফআইগুলোর কার্যক্রম আরো গতিশীল করতে গ্রাহকদের মধ্যে আস্থার জায়গা তৈরি করতে হবে।
মন্ত্রী বলেন, এখানে যারা ফটকা ব্যাবসায়ী বা অসাধু ব্যাবসায়ী রয়েছেন তাদের বিষয়ে সবার সজাগ দৃষ্টি রাখতে হবে যেন তারা সুযোগ না নিতে পারে।
অনুষ্ঠানে বিএলএফসিএ চেয়ারম্যান মো. গোলাম সরওয়ার ভ‚ঁইয়া বলেন, আশির দশকে যখন বাংলাদেশে প্রাইভেট সেক্টরে যখন শিল্পয়ান শুরু হয়, সে সময় সরকারি মালিকানাধীন দুইটি আর্থিক প্রতিষ্ঠান ছিল। যাদেরকে ডিএফআই বলা হতো। তারা যখন প্রাইভেট সেক্টরের উদ্যোক্তাদের চাহিদা মেটাতে পারছিল না তখন বাংলাদেশ সরকার ও সহযোগী সংস্থার সহযোগীতায় প্রথমে ১৯৮১ সালে আইপিডিসি যাত্রা শুরু করে। এরপর ১৯৮৫ সালে আইডিএলসি প্রথম লিজিং প্রডাক্ট নিয়ে বাংলাদেশে আসে। সে সময় বিকল্প ফাউন্ডিং উৎসহ হিসেবে আইডিএলসি অত্যন্ত জনপ্রিয় ছিল। যখন শিল্পায়ন শুরু হয় তখনই এনবিএফআই সেক্টর শুরুতে ছিল ডিএফআই, পরবর্তীতে ১৯৯৩ সালে আর্থিক প্রতিষ্ঠান আইন করার পরে এনবিএফআই হিসেবে এদের নতুন নামকরণ করা হয়। শিল্পায়নের অবদানের সঙ্গে এনবিএফআইয়ের অবদান অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
তিনি বলেন, দেশের অধিকাংশ বড় বড় শিল্প প্রতিষ্ঠানগুলো তাদের দ্রæত অর্থায়ন বা বিকল্প অর্থায়ন প্রয়োজন হলে তারা এনবিএফআইতে আসে। এনবিএফআই ঘরে বসে থাকছে না, গ্রাহকের দোরগোড়ায় যাচ্ছে। গ্রাহকের প্রয়োজনটা জেনে তার চাহিদা অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টেশনটা আমরা সেখানে করে ফেলি। সেক্ষেত্রে ব্যাংকে গিয়ে কাগজপত্র নিয়ে যেসব জটিলতা রয়েছে তা হচ্ছে না, এনবিএফআই গ্রাহকের কাছে গিয়ে কাজগুলো করছে।
বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে এনবিএফআইয়ের সেবা ও কার্যক্রম জনগণের সামনে তুলে ধরার প্রয়াস থেকেই বণিক বার্তা ও বিএলএফসিএ দিনব্যাপী এ সংযোগের আয়োজন করেছে। সংযোগের অংশ হিসেবে বেলা ১১টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত আর্থিক প্রতিষ্ঠানের প্রধান নির্বাহীদের সাথে ‘মিট দ্য লিডারস’ নামে একটি আলোচনা সভা আয়োজন করা হয়। এতে উপস্থিত ছিলেন আইআইএফসি এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও বিএলএফসিএ চেয়ারম্যান জনাব মো. গোলাম সরওয়ার ভ‚ঁইয়া, বাংলাদেশ ফাইন্যান্স লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও এবং ভাইস-চেয়ারম্যান বিএলএফসিএ জনার কায়সার হামিদ, অ্যালায়েন্স ফাইন্যান্স পিএলসি এর প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এবং ভাইস-চেয়ারম্যান বিএলএফসিএ জনাব কান্তি কুমার সাহা, আইপিডিসি ফাইন্যান্স লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও জনাব মমিনুল ইসলাম, আইডিএলসি ফাইন্যান্স লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও জনাব জামাল উদ্দিন, লংকাবাংলা ফাইন্যান্স পিএলসি এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও জনাব খাজা শাহরিয়ার, ডিবিএইচ ফাইন্যান্স পিএলসি এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও জনাব নাসিমুল বাতেন এবং ন্যাশনাল হাউজিং ফাইন্যান্স এন্ড ইনভেস্টমেন্টস লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক জনাব মোহাম্মদ শামসুল ইসলাম।
বেলা ৩.৩০ টায় অনুষ্ঠিত হয় “বাংলাদেশে আর্থিক প্রতিষ্ঠানের সম্ভাবনা ও চ্যালেঞ্জ” শীর্ষক আলোচনা সভা। এ আয়োজনে প্রধান অতিথি ছিলেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর অর্থনৈতিক বিষয়ক উপদেষ্টা ড. মসিউর রহমান। বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের কমিশনার অধ্যাপক ড. মিজানুর রহমান।
দিনব্যাপী এ আয়োজনে র্যাফল ড্রতে অংশগ্রহণকারীদের জন্য ছিল মোটরসাইকেল, সেলফোন, রেফ্রিজারেটর, ল্যাপটপ, ঢাকা-মালদ্বীপ-ঢাকা, ঢাকা-কলকাতা-ঢাকা ও ঢাকা-কক্সবাজার-ঢাকা বিমান টিকিট ও স্মার্ট টিভিসহ নানা আকর্ষণীয় পুরস্কার। সংযোগে সাতটি স্টলের সঙ্গে ছিল পাঁচটি প্যাভিলিয়ন।
