সম্প্রতি (৪ অক্টোবর) জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে আরএফএল গ্রুপের রেইনবো পেইন্টসের বনশ্রী ও গাউছিয়ার শোরুম ম্যানেজারসহ কয়েকজন ব্যক্তি প্রাণ-আরএফএল গ্রুপের নির্দিষ্ট কিছু কর্মকর্তা কর্তৃক নামাজের সময় অনলাইনে মিটিং করার মাধ্যমে পরোক্ষভাবে ইসলাম ধর্ম পালনে বাধা ও ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাতের বিষয়ে মানবন্ধন করেছে। বিষয়টি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রাণ-আরএফএল দৃষ্টিগোচর হয়েছে।
প্রাণ-আরএফএল গ্রæপের বিরুদ্ধে এ ধরনের অভিযোগ আনায় প্রতিষ্ঠানে সকলে বিস্মিত হয়েছে। কারণ, এ গ্রুপের কর্মরত প্রায় ৯০ শতাংশ মানুষই ধর্মপ্রাণ মুসলমান। গ্রুপের পথচলার শুরু থেকেই কর্মীরা যেন সম্পূর্ণ স্বাধীনভাবে নামাজ ও রোজাসহ যাবতীয় ধর্মীয় আনুষ্ঠানিকতা পালন করতে পারে, সেজন্য সর্বতোভাবে সহায়তা প্রদান করে আসছে।
প্রাণ-আরএফএল গ্রুপের হেড অফিস ও কারখানাসহ সকল স্থাপনায় নামাজ পড়ার সুব্যবস্থা রয়েছে। এমনকি প্রতিটি কারখানায় মসজিদ ও দায়িত্বপ্রাপ্ত ইমাম রয়েছে, যেখানে সকল ধর্মপ্রাণ মুসলমান প্রতি ওয়াক্তের নামাজ জামাতের সাথে আদায় করছেন।
এ বিষয়ে প্রাণ-আরএফএল গ্রুপের বিপণন পরিচালক কামরুজ্জামান কামাল বলেন, “কতিপয় কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অভিযোগ আসায় আমরা বিষয়টি অত্যন্ত গুরুত্ব দিয়ে তদন্ত করছি। যে সকল কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অভিযোগ এসেছে, তাদেরকে ইতোমধ্যে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়েছে। পূর্ণাঙ্গ তদন্ত সাপেক্ষে ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত হানার জন্য তাদের বিরুদ্ধে কোম্পানির নিয়মানুযায়ী সর্বোচ্চ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে”।
তিনি আরো বলেন, “এ ধরনের অনাকাঙ্খিত ঘটনায় আমরা গ্রæপের পক্ষ থেকে দেশের ধর্মপ্রাণ সকল মুসলমান ভাই-বোনদের কাছে আন্তরিকভাবে দুঃখ প্রকাশ করছি এবং ক্ষমা চাচ্ছি। এ ধরনের ঘটনা যাতে আর না ঘটে, সে ব্যাপারে আমরা সর্বোচ্চ সর্তক থাকবো”।