শিরোনাম

বাঁচিয়ে রাখি মানবতা” প্রতিপাদ্যে পালিত হলো বিশ্ব রেড ক্রস ও রেড ক্রিসেন্ট দিবস

বর্ণাঢ্য নানা আয়োজনে “বিশ্ব রেড ক্রস ও রেড ক্রিসেন্ট দিবস” পালন করেছে বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি। যুদ্ধহীন মানবিক পৃথিবী প্রতিষ্ঠায় বিশ্বব্যাপী রেড ক্রস রেড ক্রিসেন্ট আন্দোলনের ৭টি মূলনীতি ও মানবসেবামূলক কার্যক্রমকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে এ বছর দিবসটির প্রতিপাদ্য নির্ধারণ করা হয় “বাঁচিয়ে রাখি মানবতা”।

১৮২৮ সালের ৮ মে রেড ক্রস এর প্রতিষ্ঠাতা জীন হেনরী ডুনান্ট সুইজারল্যান্ডের জেনেভা শহরে জন্ম গ্রহণ করেন। মহান এই ব্যক্তিকে শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করতে প্রতিবছর তাঁর জন্মদিনটিকে বিশ্ব রেড ক্রস রেড ক্রিসেন্ট দিবস হিসেবে সারাবিশ্বে উদযাপন করা হয়। সে ধারাবাহিকতায় বিশ্বের ১৯১টি দেশের ন্যায় বাংলাদেশেও যথাযোগ্য মর্যাদা ও গুরুত্বের সাথে পালিত হয় দিবসটি।

বুধবার সকালে বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির জাতীয় সদর দপ্তরে জাতীয় পতাকা ও রেড ক্রিসেন্ট পতাকা উত্তোলনের মধ্য দিয়ে দিবসের কর্মসূচী শুরু হয়। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির নবনিযুক্ত চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. মো. উবায়দুল কবীর চৌধুরী। দিবস উপলক্ষ্যে সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে তিনি বলেন, “প্রতিটি দুর্যোগে আমাদের কর্মী ও স্বেচ্ছাসেবকরা আর্তমানবতার সেবায় উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত স্থাপন করে, যা সোসাইটিকে আরো গতিশীল করছে। মানবতাকে বাঁচিয়ে রাখতে জীন হেনরি ডুনান্টের প্রতিষ্ঠা করা এই সংগঠন আরো অগ্রণী ভূমিকা পালন করবে বলে আমার বিশ্বাস।” এসময় সোসাইটির সম্মানিত ভাইস চেয়ারম্যান লুৎফুর রহমান চৌধুরী হেলাল, বোর্ড সদস্য মুন্সী কামরুজ্জামান কাজল, এ্যাড. সোহানা তাহমিনা, রাজিয়া সুলতানা লুনা, মহাসচিব কাজী শফিকুল আযম, উপ-মহাসচিব সুলতান আহমেদ, বিভিন্ন বিভাগের পরিচালকসহ সোসাইটির সকল স্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারী, যুব স্বেচ্ছাসেবকরা, আইএফআরসি, আইসিআরসি এবং পার্টনার ন্যাশনাল সোসাইটির প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।

বিশেষ এই দিবস উপলক্ষ্যে শান্তির প্রতীক পায়রা ও বেলুন উড়িয়ে সোসাইটির জাতীয় সদর দপ্তর থেকে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা বের হয়। শোভাযাত্রাটি হলি ফ্যামিলি রেড ক্রিসেন্ট মেডিকেল কলেজ প্রাঙ্গণে শেষ হয়। সোসাইটির যুব স্বেচ্ছাসেবক ও সর্বস্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা এতে অংশ নেয়। দিবস উপলক্ষ্যে সোসাইটির রক্তকেন্দ্রগুলোতে স্বেচ্ছায় রক্তদান কর্মসূচী ও আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। ফুল ও খাবার বিতরণ করা হয় রাজধানীর হলি ফ্যমিলি রেড ক্রিসেন্ট হাসপাতালের রোগীদের মাঝে। জাতীয় সদর দপ্তরের পাশাপাশি সারাদেশে রেড ক্রিসেন্টের ৬৮টি ইউনিট তাদের নিজ নিজ আয়োজনে উদযাপন করেছে দিবসটি।

উল্লেখ্য, ১৯৭৩ সালের ৩১ মার্চ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাংলাদেশ রেডক্রস সোসাইটি আদেশ (পিও-২৬) জারি করেন। এই আদেশের বলে, ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর থেকে বাংলাদেশ রেডক্রস সোসাইটি স্বীকৃতি লাভ করে। এরপর, ১৯৭৩ সালের ২০ সেপ্টেম্বর তেহরানে রেড ক্রসের ২২তম আন্তর্জাতিক সম্মেলনে বাংলাদেশ রেড ক্রস সোসাইটি আন্তর্জাতিকভাবে পূর্ণ স্বীকৃতি লাভ করে। ১৯৮৮ সালে সংগঠনটির নাম পরিবর্তন করে রাখা হয় বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি।

 

আরও দেখুন

শিল্প পণ্য উৎপাদনে সক্ষমতা তুলে ধরতে আবারো এটিএস এক্সপো আয়োজন করছে টেক জায়ান্ট ওয়ালটন

দ্বিতীয়বারের মত অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে দেশের একক বৃহৎ শিল্পমেলা এটিএস এক্সপো-২০২৪। এই বৃহৎ শিল্পমেলা আয়োজন …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *