গবেষণা ও উন্নয়নের ক্ষেত্রে জ্ঞান বিনিময় এবং প্রযুক্তিগত পারস্পারিক সহযোগিতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে বাংলাদেশ শিল্প কারিগরি সহায়তা কেন্দ্র (বিটাক) এবং বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ^বিদ্যালয় (বুয়েট) এর মধ্যে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়েছে। গত ১৮ জুলাই ২০২৩ তারিখ মঙ্গলবার বেলা ১১টায় বুয়েটের এম. এ. রশিদ ভবনের সভা কক্ষে এ স্মারক স্বাক্ষরিত হয়।
বিটাকের টুল অ্যান্ড টেকনোলজি ইনস্টিটিউটের পরিচালক ড. সৈয়দ মো. ইহসানুল করিম এবং বুয়েট এর ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আনিসুজ্জামান তালুকদার এ স্মারক স্বাক্ষর করেন। এ সময় বিটাকের মহাপরিচালক আনোয়ার হোসেন চৌধুরী এবং বুয়েটের উপচার্য অধ্যাপক ড. সত্য প্রসাদ মজুমদারসহ দুই প্রতিষ্ঠানের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। কারিগরি জ্ঞান ও দক্ষতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে বুয়েটের শিক্ষার্থীদের প্রয়োজনীয় কারিগরি প্রশিক্ষণ সুবিধা প্রদান, গবেষণার লক্ষ্যে ল্যাব ও ওয়ার্কশপ সুবিধা বিনিময়সহ বেশ কিছু উদ্দেশ্যকে সামনে রেখে এ স্মারক স্বাক্ষরিত হয়।
এ প্রসঙ্গে ইহসানুল করিম বলেন, বিটাক কারিগরি ক্ষেত্রে আধুনিক বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে এগিয়ে চলেছে। এই স্মারক স্বাক্ষরের মাধ্যমে দুই পক্ষই আরও এগিয়ে যাবে। এ স্মারকের আওতায় যৌথ প্রশিক্ষণ আয়োজন, শিল্প খাতের সমস্যা সমাধানে যৌথ গবেষণা সম্পাদন, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সভা-সেমিনার আয়োজন, উদ্যোক্তা তৈরির লক্ষ্যে প্রতি বছর উদ্যোক্তা উন্নয়ন মেলা আয়োজন, নতুন প্রযুক্তি উদ্ভাবন, প্রয়োজনীয় যন্ত্রংশ তৈরির লক্ষ্যে বিদ্যমান প্রযুক্তির আধুনিকায়ন ইত্যাদি কার্যক্রম পরিচালিত হবে।
বুয়েট-এর সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক ড. আব্দুল জব্বার খান বলেন, ‘পারস্পারিক সহযোগিতা বিনিময়ের মাধ্যমে সর্বাধুনিক প্রযুুক্তি ব্যবহার করে গবেষণায় দক্ষতা বৃদ্ধি করা আমাদের অন্যতম লক্ষ্য। আশা করি এ স্মারক স্বাক্ষর আমাদের সেই লক্ষ্যকে বাস্তবে রূপ দেবে।’
বিটাকের মহাপরিচালক আনোয়ার হোসেন চৌধুরী বলেন, আমাদের দেশটি নানা দিক থেকে সম্ভবনাময়। এ দেশটিকে টেকসই উন্নয়নের দিকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হলে প্রযুক্তিগত উৎকর্ষতা অর্জনের কোনো বিকল্প নেই। আজকে এই চুক্তির মাধ্যমে দুই প্রতিষ্ঠানের পারস্পরিক সহযোগিতার দ্বার প্রসারিত হলো। বিটাকের সকল কর্মকর্তা-কর্মচারী এসব চুক্তি বাস্তবায়নে সচেষ্ট থাকবে।
তিনি আরও বলেন, বর্তমান সরকার বিটাকের সামগ্রিক উন্নয়নের জন্য বেশ কিছু কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। সর্বশেষ পরিদর্শনের সময় মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বিটাকের কার্যক্রম ব্যাপকভাবে সম্প্রসারণের নির্দেশনা দিয়েছিলেন। মাননীয় প্রধানন্ত্রীর নেতৃত্বে বর্তমান সরকার তথ্য-প্রযুক্তি এবং কারিগরি ক্ষেত্রে অত্যন্ত গুরুত্ব সহকারে নানামুখী কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ করেছে। তারই ধারাবাহিকতায় নতুন প্রযুক্তি উদ্ভাবন ও হস্তান্তর এবং গবেষণা উন্নয়নের ক্ষেত্রে যৌথভাবে কাজ করার লক্ষ্যে এই চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে।
আরও দেখুন
অতীশ দীপঙ্কর বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগে ‘মুট কোর্ট’- এর উদ্বোধন অনুষ্ঠিত
অতীশ দীপঙ্কর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগে ‘মুট কোর্ট’- এর শুভ উদ্বোধন ১৭ ফেব্রুয়ারি …