গত ২৩ নভেম্বর ২০২২ তারিখে মেঘনা লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি লিঃ -এর “বরিশাল বিভাগীয় কর্মী সম্মেলন ২০২২” বরিশালস্থ কোম্পানির নিজস্ব ভবন “মেঘনা লাইফ বীমা ভবন” -এ অনুষ্ঠিত হয়।
বিভাগীয় সম্মেলনে প্রধান অতিথি ছিলেন কোম্পানির মাননীয় চেয়ারম্যান জনাব নিজাম উদ্দিন আহমদ এবং বিশেষ অতিথি ছিলেন মাননীয় ভাইস চেয়ারম্যান জনাব নাসির উদ্দিন আহমেদ পাভেল। সভায় সভাপতিত্ব করেন কোম্পানির মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা জনাব এন. সি. রুদ্র।
সভায় শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন কর্নফুলী ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি লিঃ -এর মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা জনাব এ.এন.এম. ফজলুল করিম মুন্সী।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে কোম্পানির ভাইস চেয়ারম্যান জনাব নাসির উদ্দিন আহমেদ পাভেল বলেন, মেঘনা লাইফ ২৬ বছর অতিক্রম করে ২৭ বছরে পদার্পন করেছে। নিঃসন্দেহে একটা কোম্পানির জন্য এতটা পথ অতিক্রম করে এখন পর্যন্ত পলিসিহোল্ডারদের আস্থা ধরে রাখা অনেক বড় অর্জন। কিন্তু আমাদের এ অর্জন আমাদেরকেই ধরে রেখে ভবিষ্যত সমৃদ্ধির দিকে এগিয়ে যেতে হবে। সরকার বীমা শিল্পের দিকে বিশেষভাবে দৃষ্টি দিচ্ছে। বাংলাদেশ ইন্স্যুরেন্স এসোসিয়েশনও বীমা সেক্টরের উন্নয়নের জন্য সরকার ও বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষকে বিভিন্ন পরামর্শ ও সহযোগিতা প্রদান করছে। এরই ফলশ্রুতিতে সরকারিভাবে “বীমা দিবস” পালন করা হচ্ছে। বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ প্রতি বছর দেশের বিভাগীয় শহরগুলোতে “বীমা মেলা” পালন করছে। তাই এবছর বীমা মেলা হচ্ছে বরিশালে। এটা অবশ্যই আমাদের জন্য একটা আনন্দদায়ক বিষয় যে, আমাদের নিজেদের বিভাগীয় শহরে এ বীমা মেলা হচ্ছে। এই যে যতোসব উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে সবই কিন্তু হচ্ছে বীমা সেক্টরের উন্নয়নের জন্য। বীমার প্রতি মানুষের আস্থা ফিরিয়ে আনার জন্য আধুনিক প্রযুক্তি নির্ভর অনেক নিয়ম-কানুন আর বিধি-বিধান তৈরী করছে সরকার ও নিয়ন্ত্রক সংস্থা। আমরা আশাবাদী বীমা শিল্প একদিন মানুষের আস্থা অর্জন করতে সক্ষম হবে ইনশাআল্লাহ।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে কোম্পানির চেয়ারম্যান জনাব নিজাম উদ্দিন আহমদ বলেন, মেঘনা লাইফ বীমার সকল নিয়ম-নীতি মেনে পলিসিহোল্ডারদের সর্বোচ্চ সেবা প্রদান করছে। এই কোম্পানি উদ্বোধনের পর থেকে এখন পর্যন্ত আমি আপনাদের পাশে থেকে পলিসিহোল্ডারদের এবং বীমা কর্মীদের ন্যায্য পাওনা সঠিক সময়ে ও সঠিক নিয়মে প্রদান করে আসতে পেরেছি – এটাই আমার জীবনের বড় সার্থকতা। আপনারা নিয়ম-নীতির মধ্যে থেকে এই কোম্পানির পলিসিহোল্ডারদের সাধ্যমত সর্বোচ্চ সেবা দিয়ে তাদের বীমা দাবী পরিশোধ করবেন। কোন পলিসিহোল্ডার যাতে আমার কোম্পানিতে পলিসি করে প্রতারিত না হয়, এই কোম্পানির সকল বীমা কর্মী যাতে তাদের ন্যায্য পাওনা সঠিক সময়ে পায়, এ ব্যাপারে আপনারা সচেষ্ট থাকবেন।
সরকার বীমার প্রতি গুরুত্বারোপ করে বীমা দিবস ঘোষণা করেছে এবং বীমা দিবসকে “খ” ক্যাটাগরি থেকে “ক” ক্যাটাগরীতে উন্নীত করে সর্বতোভাবে পালনের জন্য নির্দেশনা দিয়েছে। একই সাথে প্রতি বছর বীমা মেলা উদযাপনের মাধ্যমে সাধারণ মানুষকে বীমা সম্পর্কে সচেতন করার চেষ্টা করছে। অতএব সেদিন খুব বেশি দূরে নয় যেদিন বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও বীমার প্রতি মানুষের সচেতনতা সৃষ্টি হবে, মানুষ বীমা করবে।
বরিশাল বিভাগীয় কর্মী সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন বরিশাল সিএসসি ইনচার্জ ও এভিপি জনাব মোঃ হুমায়ুন কবির।