বাংলাদেশের শীর্ষস্থানীয় বেসরকারী বাণিজ্যিক ব্যাংক প্রাইম ব্যাংক সম্প্রতি শার্ক ট্যাঙ্ক বাংলাদেশ সিজন ১-এর জন্য বঙ্গর সাথে ‘ব্যাংকিং পার্টনার’ হিসেবে চুক্তি স্বাক্ষর করেছে। শার্ক ট্যাঙ্ক বাংলাদেশ সিজন ১-এর “টাইটেল স্পন্সর” হলো রবি ও “পাওয়ারড বাই স্পন্সর” হলো স্টার্টআপ বাংলাদেশ। অনুষ্ঠানে বঙ্গ-এর সিইও আহাদ মোহাম্দ ভাই এবং প্রাইম ব্যাংকের অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক ফায়সাল রহমান নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের পক্ষে চুক্তি স্বাক্ষর করেন।
অনুষ্ঠানে বাংলাদেশী উদ্যোক্তারা তাদের ব্যবসা সম্পর্কে শার্ক তথা বিনিয়োগকারীদের কাছে উপস্থাপন করার সুযোগ পায়। এতে করে দেশের নানা শ্রেণীর মানুষ তাদের ব্যবসায়িক ধারণা উপস্থাপন করে একজন বিনিয়োগকারীর সাথে সম্ভাব্য ডিলের মাধ্যমে তাদের স্বপ্নকে সত্যি করতে পারে। শুধুমাত্র মূলধন নয় বরং লক্ষ লক্ষ দর্শকের কাছে নিজের প্রতিষ্ঠানকে তুলে ধরে শার্ক ট্যাঙ্ক বাংলাদেশর পরবর্তী উদ্যোক্তাদের জন্যে একটি আদর্শ দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে বদ্ধপরিকর।
প্রাইম ব্যাংক লিমিটেডের অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক ফায়সাল রহমান বলেন, “বাংলাদেশী উদ্যোক্তাদের সহযোগিতার লক্ষ্যে এমন একটি উদ্যোগের অংশীদার হতে পেরে আমরা সত্যিই আনন্দিত। আমরা আমাদের উদ্যোক্তাদের উদ্ভাবনী শক্তিতে বিশ্বাস করি যা এই উদ্যোগের মাধ্যমে প্রকাশিত হওয়ার সুযোগ পাবে। আমি বাংলাদেশের উদ্যোক্তা-রূপরেখার প্রকল্প বাস্তবায়নে এই উদ্যোগের উত্তরোত্তর সফলতা ও সমৃদ্ধি কামনা করছি।”
বঙ্গ-এর সিইও আহাদ মোহাম্মদ ভাই বলেন, “প্রাইম ব্যাংককে ব্যাংকিং পার্টনার হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করতে পেরে আমরা খুবই উচ্ছ্বসিত। এছাড়াও, এটি বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধির গল্প রচনা ও শার্ক ট্যাঙ্ক-এর ক্ষমতা বৃদ্ধির মাধ্যমে অন্যান্য আর্থিক প্রতিষ্ঠানদের অংশীদার হিসেবে আকৃষ্ট করবে বলে আমি আশা করি।”
‘শার্ক ট্যাংক’-এ উদ্যোক্তারা তাদের ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান ও ধারণা নিয়ে বিভিন্ন ইউনিক বিজনেস আইডিয়া বিনিয়োগকারী বা ‘শার্ক’-দের সামনে উপস্থাপন করার সুযোগ পাবে। শার্ক-দের সিদ্ধান্ত নিতে হবে তারা প্রতিযোগীদের ব্যবসায় বিনিয়োগ করতে চায় কিনা। এর মাধ্যমে প্রতিযোগীরা শার্ক-দের কাছ থেকে বিভিন্ন মেয়াদে বিনিয়োগ গ্রহণ করে তাদের ব্যবসায়িক ধারণা কিংবা প্রতিষ্ঠানকে বিস্তৃতি করার মাধ্যমে তাদের স্বপ্নকে পূরণ করার সুযোগ পাবে। প্রতিযোগী যদি প্রবাসী বাংলাদেশী কিংবা বিদেশী হোন যাদের ব্যবসায়িক ধারণা কিংবা প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশের বাজার ঘিরে, তারাও ঢাকায় এসে উপস্থাপন অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করতে পারবেন। এটি উদ্যোক্তাদের জন্যে একটি বিশেষ সুযোগ যেখানে শুধুমাত্র মূলধন বাড়াতেই নয় বরং সকলের সামনে নিজের প্রতিষ্ঠানকে তুলে ধরতেও সাহায্য করবে। ব্যবসায়িক ধারণার আদলে বানানো এই রিয়েলিটি শো-টি বাংলাদেশী উদ্যোক্তাদের জীবন পরিবর্তন করতে উদ্বুদ্ধ করবে।