বাঙালি সাহিত্য পুরস্কার পেলেন কথা সাহিত্যিক ড. মোহাম্মদ জুলফিকার আলী পাঠক মহলে তিনি জে আলী নামে সমধিক পরিচিত। তিনি গত ২৬ তারিখে এ ‘বাঙালি সাহিত্য পুরষ্কার-২০২৩’ এ ভূষিত হন।
ড. জে আলী বাংলা ছোট গল্প ও সাহিত্যের অন্যান্য শাখায় অনন্য অবদানের স্বীকৃতি স্মরূপ বিখ্যাত সাহিত্য পুরষ্কার ‘বাংালী সাহিত্য পুরষ্কার–২০২৩’ এ ভূষিত হন। উল্লেখ্য যে, বাংলা সাহিত্য বিষয়ক প্রখ্যাত প্রকাশনা ‘বাঙালি ‘ প্রতি বছর ‘বাংালী সাহিত্য উৎসবের’ আয়োজন করে থাকে এবং এই সাহিত্য উৎসবের অনুষ্ঠান থেকেই ছোট গল্প, কবিতা, নাটক,উপন্যাস এবং সাহিত্যের অন্যান্য ক্ষেত্রে মৌলিক অবদানের স্বীকৃতি স্বরূপ বিশিষ্ট কবি-সাহিত্যিকদের এই সাহিত্য সম্মাননা প্রদান করা হয়।
সাহিত্য সম্মাননা প্রদান উপলক্ষ্যে বাংলাদেশ জাতীয় যাদুঘরে অবস্থিত কবি সুফিয়া কামাল অডিটোরিয়ামটি বাংলাদেশের বিশিষ্ট কবি-সাহিত্যিকদের পদচারণায় মুখর হয়ে উঠে। সাহিত্যিকদের এই প্রাণের উৎসবে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট শিল্পী এবং এমিরিটাস অধ্যাপক হাশেম খান।
বিখ্যাত বাংলা ঔপন্যাসিক হরিসংকর জলদাস বাংলা শিল্প ও সাহিত্যের শক্তিমত্তার প্রতীক এই সাহিত্য উৎসবটির উদবোধন করেন। অন্যদিকে কবি নাসির আহমেদ এবং কবি ফারুক মাহমুদের বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিতি উৎসবটিকে আরও প্রাণময় এবং আলোকিত করে তুলেছিল।
অধিকন্তু, বিখ্যাত নাট্যকার প্রফেসর ড. রতন সিদ্দিকী অনুষ্ঠানটিতে সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন। স্বনামধন্য এই নাট্যকারের উপস্থিতিও উৎসবটিকে অনন্য মাত্রা দান করেছে।
ড. জে আলীর গল্প বলার ধরন ও বিষয়বস্তু পাঠককে এমন এক পরাবাস্তব প্রথিবীতে নিয়ে যায় যেখানে যে আলী কেবলই এক জাদুকর। মন্ত্রমুগ্ধ পাঠক তাই তার গল্পের রাজ্যের অনন্য স্বাদ উপভোগ না করে পারেন না। ‘বাংালী সাহিত্য পুরষ্কার -২০২৩’ প্রাপ্তি তাই ড জে আলীর এই অনন্য সাহিত্য প্রতিভারই স্বীকৃতি মাত্র।
বাঙালি সাহিত্য পুরষ্কার তাই হয়ে উঠেছে এমন এক আলোকবর্তীকা যা ড. জে আলীর মতো সাহিত্য প্রতিভাদের কাজের স্বীকৃতি প্রদান করে বাংলা সাহিত্যে সৃষ্টিশীলতার ফলগুধারাকে বেগবান করে চলেছে।