তামিম ইকবাল এখন জাতীয় দলের ত্রিসীমানায় নেই। তবে আছেন হাতুরাসিংহে। শুধু নেই মেহেদী মিরাজের ব্যাটিং অর্ডারের ঠিকঠিকানা।
ক্রিকেটে ‘ফ্লেক্সিবিলিটি’ বলে একটি কথার চল আছে। প্রয়োজনে যে কাউকে যেকোনো পজিশনে খেলার জন্য তৈরি থাকতে হয়। ম্যাচ পরিস্থিতির কারণে গতকাল যেমন মার্নাস লাবুশানের আগে মার্কাস স্টয়নিস আর জস ইংলিসকে ব্যাটিংয়ে পাঠিয়েছে অস্ট্রেলিয়া।
প্রথমত, পুনের ম্যাচেই প্রথম রান পেয়েছিলেন ওপেনাররা। ভালো শুরুর পরও মাঝপথে হোঁচট খায় বাংলাদেশ। এমন পরিস্থিতি সামলাতে দরকার ছিল অভিজ্ঞতার। চোটের কারণে সাকিব আল হাসান খেলেননি। কিন্তু মুশফিকুর রহিম ছিলেন। মাহমুদ উল্লাহও ছিলেন। তবু চারে নামিয়ে দেওয়া হয় মিরাজকে, কোয়ালিটি পেস বোলিংয়ের বিপক্ষে যাঁর পরীক্ষায় উতরে যাওয়া এখনো বাকি। মিরাজকে গবেষণার বিষয় বানাতে গিয়ে নাজমুলের পাশাপাশি তাওহিদ হৃদয়ের ব্যাটিং অর্ডারেও পরিবর্তন হয়েছে। তাতে সুফল মেলেনি। আফগানিস্তানের বিপক্ষে একটি ফিফটি ছাড়া রান নেই নাজমুলের ব্যাটে। অনেকটা বাধ্য হয়ে ছয়ে ব্যাটিং করা মুশফিকুর রহিম মাটি কামড়ে পড়ে আছেন, রানও করছেন।
তবে এবারের বিশ্বকাপের প্রথম চার ম্যাচ শেষে ব্যাটিং গড়ে সবার ওপরে মাহমুদ উল্লাহ, ৮৭। আফগানিস্তানের বিপক্ষে ব্যাটিংয়ের সুযোগই পাননি বিশ্বকাপে বাংলাদেশের প্রথম সেঞ্চুরিয়ান। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে তাঁকে খেলায়নি বাংলাদেশ। নিউজিল্যান্ড ও ভারতের বিপক্ষে পরের দুই ম্যাচে যথাক্রমে অপরাজিত ৪১ ও ৪৬ রান করেছেন মাহমুদ। কিউইদের বিপক্ষে আট এবং পরের ম্যাচে পদোন্নতি পেয়ে মাহমুদের সাত নম্বরে ব্যাটিং করা মিরাজকে নিয়ে অকারণ গবেষণার মতোই অযৌক্তিক। তাঁর অভিজ্ঞতাকে লোয়ার অর্ডারে বিনিয়োগের চিন্তাটা কার? আরো চমকপ্রদ মাহমুদকে পেছনে ঠেলে ভারতের বিপক্ষে মিরাজকে মিডল অর্ডারে পাঠিয়ে দেওয়া। বাংলাদেশ দলের এমন সিদ্ধান্তে বিস্ময় প্রকাশ করেছেন পাকিস্তানের কিংবদন্তি ওয়াসিম আকরাম। ধারাভাষ্যকাররাও বুঝতে পারেননি বাংলাদেশের টিম ম্যানেজমেন্টের মতিগতি। দেখা যাক, পরের ম্যাচগুলোয় আর কতভাবে ক্রিকেটবিশ্বকে চমকে দেয় বাংলাদেশের টিম ম্যানেজমেন্ট! source:kalerkantho.com