বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেছেন, শিল্প কারখানায় নিরবচ্ছিন্ন গ্যাস-বিদ্যুৎ সরবরাহের প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে । বৈশ্বিক এই সমস্যা সম্মিলিতভাবে সমাধান করা আবশ্যক। ব্যাবসায়ীদের সাশ্রয়ী মূল্যে গ্যাস সরবরাহ করা হচ্ছে। আগামীতে অগ্রাধিকার দিয়ে শিল্পের প্রসারে কাজ করা হবে।
প্রতিমন্ত্রী আজ বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিডা)-তে ব্যবসায়ী প্রতিনিধিদের সাথে মত বিনিময় সভায় এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, পরিকল্পিত এলাকায় শিল্প-কারখানা স্থাপন করলে এককভাবে গ্যাস-বিদ্যুৎ সরবরাহে সুবিধা পাওয়া যেত। কিন্তু বিচ্ছিন্নভাবে যত্রতত্র শিল্প-কারখানা স্থাপন কারায় এই সুবিধা দেয়া সম্ভব হচ্ছে না। তিনি বলেন গাজিপুর-আশুলিয়া-নারায়ণগঞ্জে গ্যাস চাপ সমস্যা দ্রুত সমাধান করা হবে। ক্যাপটিভ পাওয়ারে ১৭% ও শিল্পে ১৮% গ্যাস দেয়া হচ্ছে। ব্লান্ডেড গ্যাসের মূল্য ২৮.৪২ টাকা প্রতি ঘনমিটার অথচ গড় বিক্রয় মূল্য ১১.৯১ টাকা/ঘনমিটার। শিল্পের প্রসারের জন্যই কম মূল্যে গ্যাস বিক্রয় করা হয়। ব্যবসায়ীদের বিদ্যমান উদ্বেগ দ্রুত লাঘব করা হবে।
প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান বলেছেন, কোভিড পরিস্থিতি আমাদের পরিকল্পনা মতো এগুতে দেয় নাই। জ্বালানি ও বিদ্যুৎ সরবরাহ শিল্প-কারখানায় বাড়াতে সরকার আন্তরিকভাবে কাজ করছে।
এফবিসিসিআই-এর সভাপতি মোঃ জসিম উদ্দিন স্যবসায়ীদের সমস্যা যথাযথভাবে চিহ্নিত করার জন্য সরকারকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, বর্তমান সমস্যা বৈশ্বিক। গ্যাসের মূল্য বৃদ্ধি করে হলেও আমরা নিরবচ্ছিন্ন গ্যাস ও বিদ্যুৎ চাই। কর কাঠামো পূর্ণগঠন করলে মূল্য সমন্বয় সহনীয় থাকবে।
মত বিনিময় সভায় অন্যান্যের মাঝে, বিজিএমইএ, বিকেএমইএ, বিটিএমই, বাংলাদেশ প্লাস্টিক দ্রব্য প্রস্তুতকারক সমিতি, বাংলাদেশ রি-রোলিং মিলস এসোসিয়েশন, বাংলাদেশ স্টিল মিলস এসোসিয়েশন, বাংলাদেশ সিমেন্ট ম্যানুফ্যাকচারার্স এসোসিয়েশন, বাংলাদেশ পেপার মিলস এসোসিয়েশন, বাংলাদেশ সিরামিক ম্যানুফ্যাকচারার্স এন্ড এক্সপোটার্স এসোসিয়েশন, বাংলাদেশ ইকনোমিক জোন ইনভেস্টোরস এসোসিয়েশন ও বাংলাদেশ স্মল এন্ড ক্যাপটিভ পাওয়ার প্রডিউসার্স এসোসিয়েশন-এর সভাপতি ও প্রতিনিধিবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।