শিরোনাম

গ্রীষ্মকালীন স্বাস্থ্য বার্তা

গ্রীষ্মের শুরুতে সাধারণত: আমাদের দেশে ডায়রিয়া দেখা দেয়। নিরাপদ খাদ্য তৈরি, সংরক্ষণ, পরিবেশন এবং গ্রহণ ডায়রিয়া প্রতিরোধের অন্যতম উপায়।

ডায়রিয়া হলে-
প্যাকেট স্যালাইন ও অন্যান্য তরল খাবার যেমন- ডাবের পানি, চিড়ার পানি ও ডালের পানি, ভাতের মাড়, চালের গুড়ার জাউ ডায়রিয়া আক্রান্ত রোগীকে খেতে দিন

রোগীকে স্বাভাবিক খাবার খাওয়ান:
ডায়রিয়া আক্রান্ত শিশুকে মায়ের দুধসহ অন্যান্য খাবার বারে বারে খেতে দিন।
ডায়রিয়া বেশী হলে রোগীকে অবশ্যই নিকটস্থ হাসপাতালে নিন।

প্রচন্ড গরমে হিটস্ট্রোক হতে পারে:
হিটস্ট্রোকের লক্ষণগুলো হচ্ছে-
বমি-বমি ভাব, বমি হওয়া, প্রচন্ড মাথাব্যথা, শরীরের তাপমাত্রা বেড়ে যাওয়া, প্রস্রাব কমে যাওয়া, প্রস্রাবে জ্বালাপোড়া করা, ঘামতে-ঘামতে এক পর্যায়ে ঘাম থেমে যাওয়া, অস্বাভাবিক আচরণ, অজ্ঞান হয়ে পড়া ইত্যাদি

হিটস্ট্রোক হলে-
• রোগীকে দ্রুত ঠান্ডা স্থানে নিয়ে হাত পাখা দিয়ে বাতাস করুন অথবা ফ্যানের নিচে রাখুন।
• ঠান্ডা পানি ছিটিয়ে বা কাপড়ে বরফ প্যাচিয়ে শরীর মুছে দিন এবং ঠান্ডা পানি খেতে দিন।
• রোগী জ্ঞান হারিয়ে ফেললে দ্রুত হাসপাতালে নিন।

প্রচন্ড গরমে পথচারী/যাত্রীরা অনেক সময় ফুটপাথের খোলা খাবার বিশেষ করে শরবত, ফলের রস ইত্যাদি পান করে থাকেন যা ঝুঁকিপূর্ণ। এ সব খাবার গ্রহণ থেকে বিরত থাকা নিরাপদ।

গ্রীষ্ম মৌসুমে অন্যান্য স্বাস্থ্য সমস্যাও হতে পারে যেমন-ভাইরাসজনিত জ্বর (ডেঙ্গু ও চিকুনগুনিয়া), সর্দি-কাশি, জন্ডিস, জলবসন্ত প্রভৃতি। এছাড়া ব্রঙ্কাইটিস, হাঁপানি ইত্যাদিজনিত স্বাস্থ্য সমস্যাও বেড়ে যেতে পারে। সচেতন হোন, সুস্থ থাকুন।

সহযোগীতায় :
স্বাস্থ্য শিক্ষা ব্যুরো, স্বাস্থ্য অধিদপ্তর স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়।

আরও দেখুন

বস্তিতে বসবাসকারী বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন শিশুদের জীবনমান উন্নয়নে সহযোগিতার আশ্বাস তুরস্কের

ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র মোঃ আতিকুল ইসলামের সাথে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন ঢাকায় নিযুক্ত …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *