২৬ রান করে বোল্ড হয়ে যান সূর্যকুমার যাদব। ভাঙে ৪৫ রানের আরেকটি জুটি। মুস্তাফিজের বলে বোল্ড হয়ে যান রবীন্দ্র জাদেজা (৭)।
৪৯তম ওভার করতে এসে প্রথম বলেই শার্দুল ঠাকুরকে (১১) তুলে নেন মুস্তাফিজ। স্কয়ার লেগে দুর্দান্ত ক্যাচ নেন মিরাজ। তৃতীয় বলে অক্ষরের বাউন্ডারি হজম করে পরের বলেই তাকে তানজিদের তালুবন্দি করেন মুস্তাফিজ। ৩৪ বলে ৩ চার ২ ছক্কায় ৪২ রান করেন অক্ষর। শেষ ওভারে প্রয়োজন ১২ রান। তাননজিম সাকিবের প্রথম তিন বলে কোনো রান না এলেও চতুর্থ বলে বাউন্ডারি হাঁকান মোহাম্মদ শামি। শেষ বলে শামি রানআউট হয়ে গেলে ২৫৯ রানে অলআউট হয় ভারত। বাংলাদেশ পায় ৬ রানের রোমাঞ্চকর জয়।
এর আগে কলম্বোর আর প্রেমাদাসা স্টেডিয়ামে টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে ৮ উইকেটে ২৬৫ রান তোলে বাংলাদেশ। দলীয় ১৫ রানের মধ্যেই দুই ওপেনার লিটন দাস (০) এবং তানজিদ তামিম (১৩) আউট হয়ে যান। শার্দুল ঠাকুরের শিকার হওয়ার আগে প্রথমবার টুর্নামেন্টে সুযোগ পাওয়া এনামুল হক বিজয় ১১ বলে ৪ রানের বেশি করতে পারেননি। দ্রুত তিন উইকেট পতনের পর দলের হাল ধরেন অধিনায়ক সাকিব আল হাসান এবং মেহেদি মিরাজ। ১৩ রান করে মিরাজ আউট হলে সাকিবের সঙ্গী হন তাওহীদ হৃদয়। দুজনের জুটি একশ ছাড়াতেই ছন্দপতন। চার বছর ধরে ওয়ানডে সেঞ্চুরি অপেক্ষায় থাকা সাকিব শার্দুল ঠাকুরের বলে বোল্ড হয়ে যান।
বাংলাদেশ অধিনায়কের ৮৫ বলে ৮০ রানের ইনিংসে ছিল ৬টি চার এবং ৩টি ছক্কার মার। সাত নম্বরে নেমে শামীম পাটোয়ারী ১ রান করে রবীন্দ্র জাদেজার বলে এলবিডাব্লিউ হয়ে যান। তাওহীদ হৃদীয় আউট হন ৮১ বলে ৫৪ রান করে। তার ইনিংসে ছিল ৫ চার ২ ছক্কা। শেষদিকে নাসুম আহমেদ ৪৫ বলে ৬ চার ১ ছক্কায় ৪৪ এবং শেখ মেহেদি ২৩ বলে ৩ চারে অপরাজিত ২৯* রানের ইনিংস খেললে নির্ধারিত ৫০ ওভারে বাংলাদেশের সংগ্রহ দাঁড়ায় ৮ উইকেটে ২৬৫ রান। ভারতের শার্দুল ঠাকুর ৬৫ রানে নেন ৩ উইকেট। মোহাম্মদ শামি নিয়েছেন ৩২ রানে ২টি। Source: kalerkantho.com